শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে মইদুল ইসলাম সোনা মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন সোনা মিয়ার বাবা নুর ইসলাম আপাছ। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল দিনগত রাত ১ টার দিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের চওড়াপাড়া গ্রামের নুর ইসলাম আপাছের ছেলে মইদুল ইসলাম সোনা মিয়ার বাড়িতে যান ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অজ্ঞাত সাতজন ব্যক্তি। এসময় তারা সোনা মিয়াকে হাতকড়া পরিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রী সাথী বেগম তার স্বামীকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন তারা। একপর্যায়ে সোনা মিয়াকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিরা। পরে নুর ইসলাম আপাছ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও চেয়ারম্যানকে তাৎক্ষণিক অবগত করেন।
খবর পেয়ে ইউপি সদস্য আপাছের বাড়িতে যান। পরে সোনা মিয়ার খোঁজে আলমবিদিতর খানাটারী গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে সুরুজ মিয়াকে (৩৫) সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বেরিয়ে পড়েন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। একপর্যায়ে রাত ৩ টার দিকে সুরুজ মিয়া মোবাইল ফোনে আপাছকে ডেকে নিয়ে ছেলের মুক্তির জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে বলেন, ওই পরিমাণ টাকা দিলে অপহরণকারীরা তার ছেলেকে ছেড়ে দেবেন। তাৎক্ষণিক ওই পরিমাণ টাকা না থাকায় সাড়ে তিন হাজার টাকা সুরুজের হাতে দেন আপাছ।
এসময় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে সোনা মিয়াকে উদ্ধারের কথা জানিয়ে আবারো মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যান সুরুজ মিয়া। এর কিছু সময় পর সুরুজ মোবাইল ফোনে আপাছকে পার্শ্ববর্তী নোহালী ইউনিয়নের জনৈক ওয়ানুর ইসলামের চাতালের সামনে যেতে বলেন। তখন আপাছ তার ভাতিজা ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ওই জায়গায় গিয়ে ছেলে সোনা মিয়াকে গুরুতর আহত
অবস্থায় রাস্তায় বসে থাকতে দেখেন। পরে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ফেরেন আপাছ। পরদিন সকালে সোনা মিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে থানায় অভিযোগ করেন নুর ইসলাম আপাছ।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার দুপুরে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।