শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
আঃ খালেক মন্ডল, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে শারমিন বেগম (৩০) নামের স্ত্রীর লাশ বাঁধে ফেলে পালিয়েছিলেন স্বামী খোকন মিয়া (৩৫)। এ ঘটনার কয়েকদিন পর বোনারপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন স্বামী খোকন মিয়া। খোকন মিয়ার মরদেহ বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সাঘাটার বোনারপাড়া জিআরপি পুলিশ গাইবান্ধা মর্গে পাঠিয়েছে। এরআগে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ওই স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খোকন গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাটলক্ষীপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের হিয়ালী গ্রামে নানার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। গত বুধবার (১ নভেম্বর) তার স্ত্রী শারমিন বেগম ক্যান্সার রোগে মৃত্যু হলে অভাবের তাড়নায় লাশটি দাফন না করে সাদুল্লাপুরের কামারপাড়া ইউনিয়নের খামার বাগছী এলাকার একটি বাঁধের ওপর স্ত্রী লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। সাঘাটার বোনারপাড়া জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন পারভেজ স্থানীয়দের বরাদ দিয়ে বলেন, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে শান্তাহার-বুড়িমারীগামী করতোয়া এক্সপ্রেস বোনারপাড়ার ডিমলা পদুমশহর রেল ব্রিজ পৌঁছায়। এরই মধ্যে ট্রেনটিতে কাটা পড়ে খোকন মিয়া নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার দুপুরের দিকে গাইবান্ধা মর্গে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান রাশেদ বলেন, বোনারপাড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে খোকন মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। এর আগে তার স্ত্রীর মৃতদেহ বাঁধে রেখে পালিয়েছে খোকন। তিনি একজন অতিদরিদ্র ও মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।