রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম:
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাঞ্চন সরকারের বাড়িতে ছাত্রলীগের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীসহ আগুন দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
আজ ১২ জুলাই রাতে গাইবান্ধা জেলার অজ্ঞাতনামা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাসহ স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা একত্রিত হয়ে গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার পূর্ব পাড়ায় অবস্থিত ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গাইবান্ধা সদর উপজেলার পূর্বপাড়ার মৃত আজিজুল ব্যাপারী ছেলে মোঃ কাঞ্চন সরকার (৩০) এর বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ।পরবর্তীতে গাইবান্ধা জেলার সদর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উক্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানা যায়। উল্লেখ্য যে,উক্ত অগ্নিকাণ্ডের ফলে কোন ব্যক্তি আহত না হলেও ঘরে অবস্থিত আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় বলে জানা যায়।
এর আগে গত ১১ জুলাই রবিবার রাত সাড়ে ৯ ঘটিকায় গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি সদর উপজেলাধীন পূর্ব পাড়া এলাকায় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত কর্তৃক ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন।পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত দুই মাস পূর্বে গাইবান্ধা জেলার সদর থানার অন্তর্গত পূর্ব পাড়া মহল্লার কাঞ্চন সরকার (৩০) নামের একজন ব্যক্তির সাথে মোটরসাইকেল রেসিং খেলাকে কেন্দ্র করে রকির সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। উক্ত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে বেশ কিছু দিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলছিল বলে জানা যায় এবং হত্যাকাণ্ড পর থেকেই কাঞ্চন সরকার পলাতক রয়েছে তবে এই হত্যাকাণ্ডে কোন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই বলে প্রাথমিক তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়।
স্থানীদের নিকট জানা যায়,রকি হত্যা মামলার প্রধান আসামী কাঞ্চন সরকার একজন চিহৃিন্ত দাদন ব্যবসায়ি ও মাদকসেবী। দাদন ব্যবসার অর্থ জোড়ে সে উশৃংখল প্রকৃতি আচরণে মানুষ ছিলো উগ্রতাও ছিলো। তবে সে কোন রাজনৈতিক দলের কোন পদে আছে কিনা তা কেউ জানাতে পারেনি।
এ বিষয়ে সদর থানা অফিসার ইনচার্জ জানান, অগ্নিকান্ড ঘটনাটি ঘটলেও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি হত্যাকান্ডের ঘটনায় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে হত্যাকারী গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী জানিয়ে পৃথক পৃথক ভাবে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডিপুটি স্পিকার এ্যাড.ফজলে রাব্বী এমপি,জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি,প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী,ব্যরিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী এমপি,বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মেজর অবঃ মফিজল হক সরকার,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ, বিভাগীয়, জেলাসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ,জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন গুলো জেলা ও উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক,পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি মধ্য কঞ্চিবাড়ী গ্রামের সৈয়দার রহমানের ছেলে। হাজারো মানুষের অংশ গ্রহনে মরহুমের জানাযা শেষে আজ পারিবারিক কবর স্থানে তাহার দাফন সম্পূর্ণ হয়। তাকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই বাদি হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় কাঞ্চন সরকারসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জন কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। হত্যাকারীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে কাজ করছে জেলা ও সদর থানা পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহীনির সদস্যগণ।