admin
- ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩ / ১০০ Time View
Reading Time: < 1 minute
নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কর্জের টাকা ফেরত চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্য’র সংঘবদ্ধ হামলায় জখম হয়ে মঞ্জুরুল ও বাবলু নামের দুই জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার নাকাই ইউপির পুরন্দর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বাবা-ভাতিজা গুরুতর আহত এবং স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ও সোনার চেইন-টাকা ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত ছামছুল হোদা ওরফে আল-আমিন সহ ৭ জনের নামে লিখিত এজাহার করেন মো. রুহুল আমিন প্রধান।
লিখিত এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত ৭ মাস পূর্বে একই গ্রামের নুরুল ইসলামের কাছে সাড়ে তিন হাজার টাকা কর্জ নেয় মৃত চাঁন বকস্ প্রধানের ছেলে আ. মোত্তালিব প্রধান। বিভিন্ন সময় টাকা পরিশোধের তাল-বাহানা করায় ঘটনার দিন মোত্তালিবের বাড়িতে যায় পাওনাদার। এসময় ইউপি সদস্য সহ উল্লেখিত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাকে তাড়া করে বসতবাড়িতে এসে মারপিট শুরু করে। এ ঘটনায় নুরুল ইসলামের স্বজনরা উদ্ধারের চেষ্টাকরাকালে এলোপাথারি মারপিটের শিকার হয়। অভিযুক্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথায় রক্তাক্ত জখম হয় মুঞ্জুরুল ও বাবলু। এসময় বাদীর স্ত্রী আগাইয়া আসলে ইউপি সদস্য মাথার চুল ধরে টানা হেচড়ায় শ্লীলতাহানি সহ তার গলার সোনার চেন এবং বাদীর পকেটে থাকা মাছবিক্রির নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় দুই জনকে গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
হাসপাতালে বাদীর স্ত্রী জানান, পাওনা টাকা চাইতে গেলে ইউপি সদস্য সহ অভিযুক্তরা আমাদের বসতবাড়ির মধ্যে এসে হামলা করে। আমার মাথার চুল ধরে শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং আমার গলায় থাকা সোনার চেইনমালা ছিড়ে নেয়।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য আল-আমিনকে মোবাইল ফোনে মারপিটের কথা অস্বীকার করে জানান, আমি মারব কেন, আমার চল্লিশ দিনের কর্মসূচির লোককে জবাই করার জন্য শাহীনরা আসে। আমি কাউকে মারিনি। কালকে কর্মসূচির কাজ যখন চালু হবে তখন আসেন। কর্মসূচির লোকরাই বলবে ঘটনা কী।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মো. সাজু জানান, ঘটনাটি শুনেছি। ওরাই ভাগি-দাদি। তবে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি, বসে একটি আপোষ-মিমাংসা করা যায় কি-না।. গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি ইজার উদ্দিন জানান, লিখিত এজাহার পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।