বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

News Headline :
কুষ্টিয়ার নিখোজ ২ এএসআই এর লাশ পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার এবার প্রকাশ্যে এলেন ইবি শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা পুলিশ কর্মকর্তা বিজয়-উৎপলকে ধরলেই মিলবে কাজেম হত্যার উত্তর: দাবি চিকিৎসকদের সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে  বিক্ষোভ ও মানববন্ধন  দেশদ্রোহী খুনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে–আহসান হাবিব লিংকন রংপুরে জমি লিখে না দেয়া মাকে বেধড়ক পেঠালো ছেলে ও ছেলের বউরা শ্রীবরদীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এতিম ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ মান্দায় মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৩শো গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ

টুংটাং শব্দ নেই নীলফামারী কিশোরগঞ্জের কামারশালাতে

Reading Time: < 1 minute

মোঃ মিজানুর রহমান,কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী :
জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে অনুযায়ী বুধবার ২১ জুলাই পালিত হবে কোরবানির ঈদ। আর এই পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে বছরের এই সময়টাতে ভালো আয় রোজগারের আশায় কামারশালায় ব্যস্ততার অন্ত থাকে না। কিন্তু চলমান মহামারী করোনা ভাইরাস যেন তাদের ব্যবসায় লাল বাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে।আগের মত ঈদকে ঘিরে কামারশালাগুলোতে নেই তেমন কোন ব্যস্ততা। অনেকে পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে অনেক আগেই,যেখানে এক সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলতো তপ্ত লোহা পিটিয়ে ছোট-বড় দা, ছুরি,বটি,চাপাতি,কাটারী তৈরির কাজ। করোনাভাইরাস সংক্রমন এড়াতে লকডাউনের মধ্যে ক্রেতা পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন কামাররা। গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কামারশালা ঘুরে দেখা গেছে,আগের মত ব্যস্ততা নেই কামারদের,নেই তেমন হাতুড়ির টুংটাং শব্দ।কয়েকটি কামারশালা খোলা থাকলেও নেই তেমন কাজ। তবে পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে একমাস আগে থেকেই কামারশালায় হাতিয়ার বানানোর কাজ শুরু হতো।কামারশালায় পাশ দিয়ে গেলেই শোনা যেত হাতুড়ির জ্বালাময়ী টুংটাং শব্দ আর লোহা গরম করা ভাতির শব্দ ও আগুনের স্ফুলিঙ্গ। কিন্তু চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন।এর প্রধান কারন করোনা সংকট।এ সময় উপজেলার কামারপাড়া গ্রামে কামারশালায় কথা হয় আরিফ রবিন কর্মকারের সাথে। তারা জানান,এবছর ব্যবসার মূল সময়টাতে লকডাউন। ঈদ আসলেই কাজের চাপ কয়েকগুন বেড়ে যায়,ভালো আয় রোজগারও হয়।কিন্তু এবার সে পরিমান কাজ নেই।তারা আরও বলেন,ঈদের এক মাস আগে থেকেই দা,ছুরি,বটি,কাটারী,চাপাতিসহ নানা হাতিয়ার তৈরি করা শুরু হতো।সেই সাথে কামারশালার সামনে বিক্রি করার জন্য সাজানো থাকতো পশু কোরবানি করার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি আর বিক্রি শুরু হতো এক সপ্তাহ আগে থেকেই। কিন্তু এ বছর লোহার দামও বেশী তেমন ক্রেতাও নেই,তাই কাজও পাওয়া যাচ্ছে না। পুঁজি হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com