বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজশাহী:
এটি কোন এসি কেবিন এর দৃশ্য নয়। এটি রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারি ট্রেনের পাওয়ার কারের সাথে সংযুক্ত লাগেজ ভ্যান।এখানে এভাবেই যাত্রী পারাপার করা হয়। কেবিনের বেডিং পত্র দিয়ে ৬ থেকে ৭ টি বিছানা তৈরি করা হয়। আর নিচে ফ্লোরে গন শোয়ার ব্যবস্থা করে বুফে কারের লোকজন। প্রতিদিন গুনে নেন মোটা অংকের টাকা। এটি কোন মানবিক ব্যবস্থাপনা নয়। এসি বার্থ এর চেয়ে একটু কম ভাড়াতেই ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। এমন সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পিছিয়ে নেই রাজশাহী স্টেশন এর বেডিং রাখার কক্ষের দায়িত্বে নিয়োজিতরা। সেখানে প্রতিদিন ঢালা বিছানা করা হয় আর গুণে নেওয়া হয় বোর্ডিং ভাড়া। বোর্ডিং রাখার কক্ষটি এক সময়ে মহিলা যাত্রীদের ওয়েটিং রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কাল ক্রমে ওয়েটিং রুম বেডিং রুম হিসেবে পরিণত হয়। এই স্টেশনে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সুযোগটি উঠিয়ে নেয়ায় বাধ্য হয়ে নারীদের সিঁড়ির নিচের ময়লা আবর্জনা যুক্ত সোফাতেই বসতে হয়। ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের স্টেশনে স্বচ্ছন্দময় অবস্থানঃ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করতে হবে। কারণ এই স্টেশন ঘিরে চোর, ছিনতাইকারী, মাদক কারবারি ও টিকিট কালোবাজারি চক্র সক্রিয় । কোন কোন বুকিং সহকারী এখনো কালোবাজারিদের সাথে সম্পর্ক রেখে চলেছেন। কালোবাজারীরাও স্টেশন ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করে তাদের অপরাধ কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে চালাচ্ছে। রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সব ধরনের দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে রহস্যজনক নীরবতা পালন করছেন। সে কারণে রাজশাহীতে এই দুই বাহিনীর সফলতা শূন্যের কোঠায়। একইসাথে টিকিট কালেক্টরদের কক্ষটি যেন দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার হয়। টর্চার সেল অপবাদ কাম্য নয়।রাজশাহী রেল স্টেশনের তিনতলা ভবনের দোতালার কয়েকটি কক্ষ নিয়ম না মেনে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি ব্যবহার করছেন এস এস এ ই/ ইলেকট্রিক রতন কুমার মন্ডল। ওই কক্ষটি অফিস কাম রেসিডেন্স বানিয়েছেন। রেলের অনেক কর্মকর্তাই নিয়মবহির্ভূতভাবে রেস্ট হাউস ব্যবহার করেন। কেউ করেন বাসভবন।বাসা বরাদ্দ থাকলেও ভাড়া না দিয়ে নিজের বাড়িতে অথবা ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করেন অনেকেই। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বাড়িভাড়া আইন না মেনে ভাড়ার টাকাটা আত্মসাৎ করা বড় ধরনের দুর্নীতি। অথচ বছরের পর বছর এই কাজটি করে চলেছেন কতিপয় কর্মকর্তা। একইভাবে রেল কর্মচারীদের কিছু সংখ্যক কোয়াটার চলছে অনিয়ম আর কারসাজিতে ।