শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা থেকে:
সরকারি চাকরিতে উচ্চ পদে যুক্ত থেকেও তিনি বিভিন্ন চিত্র তৈরি করেছেন, কাজের ফাঁকে সময় বের করে, ক্রাপচার এর উপর বিভিন্ন মডেল তৈরি করেছেন ও এঁকেছেন, কিন্তু শিল্প জগতে জগতে থাকতে থাকতে তিনি চিন্তা করেছিলেন ,যে বিভিন্ন পাখির ডিমের উপরে কিভাবে চিত্র ভাস্কর্য তৈরি করা যায় , শুরু হয় বিভিন্ন দেশে থেকে ডিম কালেকশন করা, বিভিন্ন পাখির হাঁস ,মুরগির , এবং তার সাথে সাথে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট শুরু করে দেন,। সার্ভিস থেকে ফিরেই, বসে যেতেন এই কাজ করার আগ্রহ নিয়ে। শুরু হয় আস্তে আস্তে বিভিন্ন ডিমের উপর মডেল তৈরি করা ও আঁকা। এইভাবে করতে করতে আজ তিনি মানুষের সামনে তুলে ধরলেন ডিমের উপর বিভিন্ন চিত্র ভাস্কর্য ,ডিমের উপর এমনকি টেবিল ল্যাম্প বানাতে ছাড়েননি, বেশ কয়েকটি মডেলের টেবিল ল্যাম্প তিনি আবিষ্কার করে ফেললেন, শুধু তাই নয় এই ডিমের উপর বিভিন্ন চিত্র ভাস্কর্য এঁকে সত্যজিৎ রায়ের লালকেল্লা থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি থিম তিনি বানিয়ে ফেলেছেন। এবং সত্যজিৎ রায় এর ছেলে সন্দীপ রায় একটি উপহার তুলে দিয়েছেন, এই ধরনের চিত্ত ভাস্কর্য আজও কেউ করেননি, সুদূর গুজরাট থেকে এসে শিল্পাঙ্গনের হাত ধরে একাডেমি অফ ফাইন আর্টস এ তার বেশ কয়েকটি চিত্ত ভাস্কর্য তুলে ধরলেন এবং দর্শকরা ও শিল্পী অনুরাগীরা ভিড় জমাতে থাকে ওই মডেল্গগুলির উপর এবং যথারীতি শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন প্রশ্ন, প্রথমদিকে কেউ বিশ্বাস করতে রাজি নয়, যে এটা সত্যি কারের ডিমের খোলা দিয়ে তৈরি কিনা, শিল্পী অলোক কুমার ভঞ্জ মহাশয় তাদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন, আপনারা যদি প্রমাণ করেন এটা ডিমের খোলার নয়, তাই তাদের সামনে এক একটি ডিমের খোলা বার করে তাহার উপর ভাস্কর্য তৈরি করে দেখালেন, চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি এই শিল্পকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তার এই প্রদর্শনীতে আসা, তিনি চান এই ভাস্কর্যকে তুলে ধরার এবং বিভিন্ন শিল্পীর মনে আকর্ষণ বারানোর ও ছোট ছোট নতুন শিশুদের তিনি হাতে গড়ে তৈরি করবার সংকল্প নিলেন, শিল্পী অলোক কুমার ভঞ্জ মহাশয় জানালেন ,আমার অনেক দিনের ইচ্ছা, আমি কিছু ছেলে মেয়েদের নিজে হাতে তৈরী করে এই চিত্র ভাস্কর্যকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই এবং তাদেরকে শিখিয়ে একটা জায়গায় পৌঁছাতে চাই।,, শিল্পীরা বিভিন্ন চিত্রের উপর ও ভাস্কর্যের উপর প্রদর্শনী করেছেন, কিন্তু এই ডিমের খোলার উপর প্রদর্শনী আমি প্রথম করলাম। তবে আমার ভালো লাগছে এই প্রদর্শনীতে আমার চিত্র ভাস্কর্য দেখে দর্শকেরা তাদের মতামত জানতে চেয়েছেন এবং আমার কাছে বিভিন্ন মতামত নিয়েছেন।, তিনি জানালেন এক একটি চিত্র তৈরি করতে মিনিমাম সাত থেকে দশ দিন সময় লাগে এবং মিনিমাম এই ভাস্কর্যের মূল্য ২০০০ থেকে শুরু, যদি কারো ভালো লেগে থাকে তিনি সংগ্রহ করতে পারেন অথবা আমার ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন, এছাড়া অলক কুমার ভঞ্জু মহাশয় জানালেন ,আমি কয়েকটি জায়গায় স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা এসে এই শিক্ষা নিতে পারবেন, এবং যোগাযোগ করতে পারবেন,,, সকল দর্শক বন্ধুদের এবং শিল্পী অনুরাগীদের তিনি অশেষ ধন্যবাদ জানালেন এই প্রদর্শনী চলবে ২৮ শে মার্চ থেকে ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত। কলকাতার একাডেমি অফ ফাইন আর্টস এ প্রতিদিন দুপুর ১২ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত।