মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় মেয়ে মোসাঃ হাসিনা, ছোট ছেলে দেলশাদ ও তার স্ত্রী’কে পিটিয়েছে বড় ভাই লাফু-সহ ৮জন। ওইদিনই রাত সাড়ে ১২টায় ছেলে মেয়ের পক্ষে কথা বলায় বৃদ্ধা মা’কে মা’কে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকির অভিযোগ আমিনুল ইসলাম লাফু’’র (সার্ভিয়ার) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ‘মা’ মোসাঃ মতিজান বেগম (৭৬), বাদী হয়ে তার ছেলে আমিনুল ইসলাম লাফু-সহ ৮জনের বিরুদ্ধে জেলা রাজশাহীর বিজ্ঞ দামকুড়া থানা আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৮৪, সি/২০২৩ দামকুড়া। তাং-২৬/১০/২০২৩। দামকুড়া থানার অভিযোগ ও আদালতে দায়ের করা মামলার বরাত দিয়ে জানা যায়, আমিনুল ইসলাম (সার্ভিয়ার) লাফু তার নিজ ছোট ভাই মোঃ দেলশাদ আলীর সাথে জমিজমা সংক্লান্ত বিষয়ে মনোমালিন্য চলছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় দেলাশাদ তার ভাই লাফুর কাছে বাঁকিতে ৫হাজার টাকা মূল্যের আম ক্রয় করে। হটাৎ চলতি বছরের (২০ অক্টোবর) বড় ভাই লাফু’র স্ত্রী ছোট ভাই দেলশানকে ফোন দিয়ে বলে তোরসাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। আমের পাওনা টাকা ফেরত দে। এরপর দেলশাদের স্ত্রী তার ভাসুর লাফুকে ফোন দিয়ে বলেন, বড়ভাই ভাবি পাওনা ৫হাজার টাকার বিষয়ে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করছেন। ফোনে অভিযোগ করায় ভাসুর লাফু ক্ষুদ্ধ হয়ে ছোট ভাই দেলশাদেরে স্ত্রী’কে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনার দুইদিন পরে (২৩ অক্টোবর) দেলশাদ তার বড়ভাইয়ের কাছে গিয়ে খারাপ আচারণের বিষয়ে জানতে চায়। এতে বড়ভাই লাফু ও তার স্ত্রী-সহ ৮জন মিলে দেলশাদ তার স্ত্রী ও তার বড় বোনকে বেধড়ক পেটায়। একই তারিখ দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় লাফু তার স্ত্রী-সহ ওই ৮জন তার বৃদ্ধা ‘মা’ মোসাঃ মতিজান অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। এরপর থেকে আদ অবদি লাফুর অত্যচারে অতিষ্ঠ ভুক্তভোগীরা ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতী গত (১৫ ডিসেম্বর) ও ১৮ ডিসেম্বর রাতে সার্ভেয়ার লাফু তার মা’কে ডেকে নিয়ে গিয়ে ঘরে বন্দি করে মামলা উঠানোর জন্য চাপসৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে বলে জানায় তার ছোট ভাই দেলশাদ। এ ব্যপারে জানতে চাইলে দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মইনুল বাশার জানান, আদালতে বৃদ্ধার দায়ের করা মামলায় এবং দেলশাদের থানায় দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত শেষ পর্যায়ে। কিছুদিনের মধ্যেই আমরা তদন্ত রিপোর্ট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করবো বলে ওজানান ওসি।