মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫০ অপরাহ্ন

News Headline :
ডিমের মূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা বড় সমস্যা- মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ এর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪ উদযাপনের আজদ্বিতীয় দিন ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে লালন মেলা হতে চুরি হওয়া ১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার ন্যায় বিচার পেলে আওয়ামী লীগের জীবনের স্বাদ মিটে যাবে-নওগাঁ জামায়াত আমির রাবি’তে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে বিএনপি‘র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২ পাবনার ঈশ্বরদীতে সন্ত্রাসীদের গুলি ল্যাংড়া বিপু গুলিবিদ্ধ পাবনায় স্বপনের অফিস ভাংচুর করলেন শিমুল সমর্থক হামলা-পাল্টা হামলা পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার

দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রতারণা করেছে

Reading Time: 2 minutes

মোঃ জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া :
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নে নিতাইল পাড়া ব্রিজ বাজারে মোস্তফা ডেন্টাল কেয়ার। মোঃ গোলাম কবির (মোস্তফা) তিনি ডেন্টিস্ট পদবী দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের রোগীদের সেবা নামে প্রতারণা করে আসছে। তিনি এসএসসি পরীক্ষা দেন মানবিক শাখা থেকে। এরপর তিনি ঝিনাইদহে এপেক্স নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ডেন্টাল এর উপর ১ বছর মেয়াদী কোর্স করেন বলে জানান। কিন্তু মোহাম্মদ গোলাম কোবির (মোস্তফা) তার পদবীতে লিখেছেন বি,ডি, টি টেকনোলজিস্ট ঢাকা। তিনি তার প্রেসক্রিপশনে যে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করেছেন সেটাও ভুল। গোলাম মোস্তফা ২০১৭ সাল থেকে ডেন্টাল চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তিনি তার প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করেন এখানে দাঁতের সকল প্রকার কাজ করা হয় কিন্তু দুঃখজনক এইযে তিনি ডেন্টাল এর উপর কোন প্রশিক্ষণ নেন নি। কোন কাগজপত্র দেখাতে তিনি সক্ষম নন। তিনি প্রথমে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাশগ্রাম বাজারে মোস্তফা ডেন্টাল কেয়ার নামে প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন। এরপর সেখানে ভালো না চললে তিনি স্থান পরিবর্তন করে চলে যান লাহিনী বটতল মোড়ে। সেখানেও ২ মাস তিনি ঠিকঠাক দাঁতের চিকিৎসা দিতে না পারায় সেখান থেকে চলে যান নিতাইল পাড়া ব্রিজ বাজারে। বর্তমানে এখানে তিনি দুই বছর যাবত দাঁতের চিকিৎসা করে আসছেন সাধারণ মানুষের। সাধারণ জনগণ খুব সহজ সরল হাওয়াই তাদের থেকে চিকিৎসার নামে প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা যায়। মোঃ গোলাম মোস্তফা তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান আমি তো একা নই আমার মত আরো অনেকেই এই কাজ করে আসছে। আমার একটা পা নেই কি করে খাব তাই এই কাজের মাধ্যমেই আমি সংসার চালায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে এমনটাই বলছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী আরো বলেন গ্রাম্য মারামারিতে তার পা কেটে যাবে তারপর থেকে তিনি ঢাকা চলে যাই ।তারপর সে এসে ডাক্তারের দোকান দেয় এবং রোগী দেখতে শুরু করে। অথচ তিনি এসেছিলেন মানবিক তার পরে তিনি লেখাপড়া করেননি তাহলে সে কিভাবে ডাক্তার হয় এটা আমাদের বোধগম্য নয়। ডক্টর গোলাম মোস্তফা সাথে কথা বললে তিনি বলেন যে আমার কাগজপত্র সব আছে। কিন্তু তার কাছে কাগজপত্র চাইলে সে তার সার্টিফিকেট এবং ডক্টর ডেন্টাল এর সার্টিফিকেট কোনটা দেখাতে পারেন না। কিন্তু সে বড় ডাক্তার হিসেবে নিজেকে মনে করে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com