বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫১ হাজার নমুন পরীক্ষা করে ১৫ হাজার ১৯২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। গতবছর মার্চে দেশে করোনাভাইরাস সনাক্তের পর এক দিনে এতবেশি রোগী আর কখনও শনাক্ত হয়নি। নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাড়াল ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মোট ১৯ হাজার ৫২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শনাক্ত ও মৃত্যুর বাড়তে থাকায় গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশে লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। বিধিনিষেধের মধ্যেই ৬ জুলাই প্রথমবারের মত দৈনিক শনাক্ত রোগী ১০ হাজার অতিক্রম করে। তারপর ১২ জুলাই ১৩ হাজার ৭৬৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঈদের ছুটির মধ্যে দৈনিক নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ায় প্রতিদিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও কমে গিয়েছিল। নমুনা পরীক্ষা বাড়ায় রোববার শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ফের ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়; সেই সঙ্গে মৃত্যু হয় সোয়া দুইশ মানুষের।
এর আগে গত ১১ জুলাই দেশে করোনায় ২৩০ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ১৯ জুলাই মৃত্যু হয় ২৩১ জনের। আর ২৫ জুলাই মৃত্যু হয় ২২৮জনের। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ নয় হাজার ৯৭৫ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৫২টি, র্যা পিড অ্যান্টিজেন ৪৫৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৫৩ হাজার ৩১৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৯৫২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৫ লাখ ছয় হাজার ২৩৩টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭২ শতাংশ ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৪৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ জন, সিলেট বিভাগে ১৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৫ জন, বেসরকারি ৫৫ হাসপাতালে জন এবং বাড়িতে ২৬ জন মারা যান। আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয় একজন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন চার হাজার ৪৪৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৫৫০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৭০ হাজার ৯৬৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৮৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭৭ হাজার ৯৮৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।