শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 3 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা:
করোনা সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছু করেননি বলে অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার পূর্বস্থলী উত্তর ও দক্ষিণের জনসভায় বক্তৃতা করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখান থেকেই বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। নোভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে যে ভাবে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নিস্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছেন মমতা। প্রধানমন্ত্রী অতিমারি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরিবর্তে বিজেপি-র হয়ে প্রচারে ব্যস্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শনিবার পূর্বস্থলীর সভা থেকে মমতা বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী নামের এক জন মিথ্যেবাদী প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। শুধু মিথ্যে বলে, ধোঁকা দিয়ে দিয়ে রাজ্যে রাজ্যে দাঙ্গা বাঁধাচ্ছেন। কোভিড ছড়িয়ে দিয়েছেন। একটা কাজও করতে পারেন না। আজ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর একটা বিবৃতি দেখলাম। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের ওখানে কোভিড বাড়ছে। তাই অক্সিজেন, প্রতিষেধক চাইছেন। কিন্তু পিএমও-র অফিস জানিয়েছে, বাংলায় ভোটের প্রচারে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই কথা বলা যায়নি।আপনারাই বলুন, এই মুহূর্তে কোনটা জরুরি?’’
করোনা সামাল দিতে পিএম কেয়ার্প্রস চালু হলেও সেখানে জমা একটি টাকাও খরচ হচ্তিছে না বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘দিন ২ লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। গত ছ’মাস কোভিড ছিল না। ইঞ্জেকশন দিয়ে দিলে হতো। টাকা ছিল। পিএম কেয়ার্সে টাকাও ছিল। ছিল ইঞ্জেকশনও। সে সব অন্য দেশকে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের লোককে দেয়নি। এই হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী। মুখে গরম গরম কথা বলবে। যেন রসগোল্লা খাচ্ছে গরম গরম। কাজের বেলায় কিছু নেই।’’
সরাসরি আপডেট—
• ০২.৪২: সব করে দেব আমরা। শুধু মনে রাখবেন। বিজেপি নয়, সিপিএম নয়, কংগ্রেস নয়। এদের সবার মধ্যে সংযোগ রয়েছে: মমতা
• ০২.৪০: কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলব স্বাধীন ভাবে কাজ করুন। বিজেপি-র কথায় চলবেন না। ওরা চলে যাবে। আপনাদের কাজ করতে হবে। নিজেদের বদনাম হতে দেবেন না: মমতা
• ০২.৪০: আমাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। আর বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে গিয়ে মধ্যাহ্ণভোজ করাচ্ছে। ভোট মিটলে করাতে পারত? এ ভাবে প্রভাবিত করছে: মমতা
• ০২.৩৮: বাংলায় করোনা ছিল না। বাইরে থেকে গুন্ডাদের নিয়ে চলে এসেছে। পাড়ায় পাড়ায় বসে রয়েছে। হোটেল, গেস্টহাউস, বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছে। সবার করোনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চ সাজানোর কাজ যে করে, সে-ও বাইরের। এখানে করোনা ছড়ালে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী দায়ী হবেন। কমিশনকে বললাম দফা কমিয়ে দিতে। তা না করে প্রচারের মেয়াদ কমিয়ে দিল। কারণ বিজেপি-র আর তেমন প্রচার নেই। এই পা নিয়ে প্রচার করে বেড়াচ্ছি। তা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার দিনগুলো নষ্ট করে দিল। আগামী দিনে যে কেন্দ্রে ভোট, বিজেপি জানে তার একটাতেও জিতবে না। তার জন্যও প্রচারের সময় কমিয়ে দিল: মমতা
• ০২.৩৩: আমরা বাংলার মানুষ রবীন্দ্রনাথ, কাজি নজরুল, নেতাজির লোক। তোমরা কী ভাই? মুখে বিবেকানন্দ আওড়াবে কিন্তু তাঁর আদর্শ মানবে না। বিবেকানন্দ সংখ্যালঘুদের বাড়িতে গিয়ে খেয়েছিলেন। রামকৃষ্ণ বলতেন মাকে কেই আম্মা বলে, জলকে কেউ পানি বলে। কিন্তু মা মা-ই থাকে: মমতা
• ০২.৩১: আমরা হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান করি না। আমরা মানবতার ধর্ম করি: মমতা
• ০২.৩০: মানুষ প্রতিবাদ করলেই গুলি চালিয়ে ঠান্ডা করে দেয়। এই হল বিজেপি: মমতা
• ০২.৩০: বিজেপি গোল্লায় গোল্লা। কোনও লোক ওদের ভোট দেবে না। আমি ঘুরে দেখে নিয়েছি। কেউ বিজেপি-কে চায় না। কেউ ওদের ভোট দেবে না: মমতা
• ০২.২৯ : আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ১০০ কিলোমিটার যাত্রার জন্য ১৫ টাকায় এক মাসের মান্থলি করে দিয়েছিলাম। গ্যাসের দাম এখন কত? আমি বিনা পয়সায় চাল দেব আর আপনারা ১০০০ টাকার গ্যাসে ফোটাবেন? তার চেয়ে বিজেপি-কে ফুটিয়ে দিন। বলুন ৫০০ টাকা ক্যাশ চাই না, বিনা পয়সায় গ্যাস চাই: মমতা
• ০২.২২: নরেন্দ্র মোদী কী করেছেন, নোটবন্দি করে দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন। দিল্লিতে দাঙ্গা করে লোক মেরেছেন, উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার দাঙ্গা করে লোক মেরেছে। কৃষকরা কত দিন ধরে রাস্তায় পড়ে রয়েছেন: মমতা
• ০২.২০: দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে সত্যি কথাটা বলতে হয়। এমন মিথ্যেবাদী প্রধানমন্ত্রী কখনও দেখিনি: মমতা
• ০২.১৭: খালি বড় বড় কথা। কাজের বেলায় কিচ্ছু নেই। প্রধানমন্ত্রী মিথ্যেবাদী। করোনার সময় কিছু করেননি। গত ছ’মাস করোনা ছিল না। প্রতিষেধক দেওয়া যেত। দেননি। পিএম কেয়ার্সের টাকা আটকে রেখেছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হল। করোনা সঙ্কট নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তো বাংলায় প্রচারে। সময় দেননি: মমতা
• ০২.১৫: দু’টো আসনই এ বার আমাদের দিন। কারণ এ বারের নির্বাচন বাংলাকে বাঁচানোর লড়াই, বাংলার ইজ্জত বাঁচানোর লড়াই, বাংলাকে গুজরাত না করতে দেওয়ার লড়াই: মমতা
• ০২.১৫: ভায়েরা যাঁরা বাইরে কাজ করেন, তাঁদের একটাই শান্তি যে মেয়েরা ঘর সামলান। এক সঙ্গে থাকতে গেলে ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু তার মানে বিচ্ছেদ নয়। ঝগড়া মানুষকে একসঙ্গে বেঁধে রাখে: মমতা
• ০২.১০: মা বেঁচে থাকতে, গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন মা। মায়ের মুখ না দেখে বাড়ি থেকে বেরোতাম না। এখন মা বলতে আপনারাই আছেন। ছেলেদেরও ভালবাসি কিন্তু আমার মেয়েদের প্রতি বিশেষ ভালবাসা রয়েছে। মেয়েরা ঘরের লক্ষ্মী: মমতা