শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া :
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার বিলগাথুয়া গ্রামে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক মেম্বার ইসমাঈল এর নেতৃত্বে কালাম মেম্বারের লোকজনের উপর বোমা হামলা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জামসেদ মন্ডলের ছেলে রাজন ও জাহান মন্ডলের ছেলে বিদুৎ বলেন, গত ১৯ জানুয়ারী বিলগাথুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে কালাম মেম্বারের প্যানেল পরাজিত হয়। পরাজিত হওয়ার পর থেকে ইসমাঈল মেম্বার ও এম জি মোস্তফার গ্রুপের লোকজন এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করে আসছে এবং আমাদের গরোজান নেছা ঈদগাহ মাদ্রাসা চত্বরে দীর্ঘ দিন যাবত সাপ্তাহিক হাট বসে আসছে ।নির্বাচনে জিতার পরের দিন ইসমাঈল মেম্বার ও এম জি মোস্তফার নেতৃত্বে নতুন একটি হাট বসিয়েছে তাদের বাড়ির পাশে । এই হাট উচ্ছেদের জন্য আজ হাটের সময় বিকাল অনুমানিক ৪ টার পরে তারা হঠাৎ হামলা চালায়। এ সময় তারা ৩০ থেকে ৪০ জন ব্যক্তি হামলা চালায় এবং বোমা হামলা করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ বিষয়ে মেম্বার কালাম বলেন, পূবে থেকেই তারা বিভিন্ন ভাবে আমাদের লোকজনকে হয়রানি করে আসছে। তারা অনেক বার আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালিয়েছে। এম জি মোস্তফা যখনি ঢাকায় থেকে বাড়িতে আসেন তখনি তাদের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি জন্য প্রস্তুতি নেই। আজ শুক্রবার আমাদের বিলগাথুয়া গ্রামের সাপ্তাহিক হাট বসে হাট উচ্ছেদ করার জন্য তাদের লোকজন, তারেক, সেন্টু, টুয়েল, সান্টু, সাইদ, রাজিব, হাসান, জুয়েল সহ আর ২০ থেকে ৩০ জন আগ্নেয়াস্ত্র সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এ সময় তারা গুলি করে ও বোমা হামলা করে।বোমার আঘাতে নুর হোসেন মন্ডলের ছেলে মনজু ও বাবলুর ছেলে রাজিব সহ মোট চারজন গুরুতর আহত হয় । তারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এই ঘটনার তদন্ত করে সঠিক বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে ইসমাঈল মেম্বার ও এম জি মোস্তফার ক্যামেরায় কোন কথা বলতে না চাইলে। এম জি মোস্তফা সাহেবের ভাই সফাতুল্লার স্ত্রী সামছুরনাহার বলেন, মোস্তফা সাহেব অনেক ভালো মানুষ সে কোন মারামারি গ্যাঞ্জাম মধ্যে থাকেন না। তারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে আমাদের নাম দিচ্ছে। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।