মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
জহুরুল হক, দৌলতপুর কুষ্টিয়া :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রায় শতকোটি টাকার ৩৯৩.৬৩ একর লাওয়ারিশ সম্পত্তি চিন্থিতকরণ করে খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু জমি বে-দখলে থাকায় তা উদ্ধারের তৎপরতা চলছে। এসকল খাস জমি দ্রুততার সাথে অবমুক্ত করে ভুমিহীন, অসহায়, দরিদ্রদের মধ্যে বন্দোবস্ত দিয়ে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছে উপজেলা ভুমি প্রশাসন।
উপজেলা ভুমি অফিস সুত্র জানায়, সরকারের গৃহিত পদক্ষেপের অংশ হিসাবে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে প্রথম ধাপে জরিপ চালায় উপজেলা ভুমি অফিস। প্রথম ধাপের জরিপে ১৪ টি ইউনিয়ন ভুমি অফিসের আওতায় ৩৯৩.৬৩ একর বা প্রায় ১ হাজার বিঘা লাওয়ারিশ, খ‘ তফশীলভুক্ত ভিপি সম্পত্তি যাচাই বাছাই করে খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ১২০ কোটি টাকা। যা সম্ভব হয়েছে, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আফরোজ শাহিন খসরু‘র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিসাবে আফরোজ শাহিন খসরু এক বছর পুর্বে দৌলতপুর উপজেলায় যোগদান করেন। তরুন এই মেধাবী কর্মকর্তা যোগদানের পর এখানকার সমস্যাগুলো চিন্থিত করে তার সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ‘ এর সুফল পুরোটাই সেবা প্রত্যাশীদের প্রদানের লক্ষ্যে মাসব্যাপী মাইকিং, পোষ্টার প্রদর্শণ, লিফলেট বিতরণ করা হয়। যা সেবা প্রত্যাশী ভুমি মালিকদের সচেতন হতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রেখেছে। এছাড়া উপজেলার সবগুলো ইউনিয়ন ভুমি অফিস সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ফলে,একদিকে সবগুলো অফিসকে মনিটরিং করা এবং অন-লাইনে সেবা প্রত্যাশীদের তাৎক্ষনিক সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া, এই অঞ্চলে এই প্রথম অনলাইন প্রত্যয়ন ও ওয়ারিশ কায়েম সনদ প্রদান, অনলাইনে মিস কেসের শুনানী গ্রহণের ফলে সময় ও ভোগান্তি লাঘব হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিসাবে আফরোজ শাহিন খসরু‘র তৎপরতার ফলে, এ সকল পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং হাজার বিঘা লাওয়ারিশ,ভিপি সম্পত্তি খাস খতিয়ানভুক্ত কারা সম্ভব হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এছাড়া ৬০ বিঘার বেশী জমি ধারণ করায় নুরজ্জামান বিশ্বাস নামে এক শিল্পপতি দম্পতির অতিরিক্ত সম্পত্তি খাস খতিয়ান ভুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আরো বেশ কিছু এ ধরণের ভুমি মালিককে চিন্থিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া, উপজেলা ভুমি প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পদ্মার চরে নতুন বালু মহাল সৃজনের কাজ সহ ভাঙন কবলিত এলাকায় এই প্রথম এডি লাইন টানা হচ্ছে। তাছাড়া, পাকুড়িয়া আশ্রায়ন প্রকল্পের যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তা না থাকায় দীর্ঘদিনের এ সমস্যা সমাধানে উপজেলা ভুমি প্রশাসন রাস্তার জমি নির্ধারণে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) আফরোজ শাহিন খসরু বলেন, ভুমি সেবা প্রদানে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করার পাশাপাশি খাস জমি চিন্থিত করণ ও উদ্ধারে তিনি সচেষ্ট রয়েছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমুহ বাস্তবায়ন যেমন সহজ হবে, তেমনি উপজেলার ভুমি সেবা গ্রহিতারা উপকৃত হবে বলে তিনি মনে করেন।