সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ ফজলুল করিম সবুজ স্টাফ রিপোর্টার –
নওগাঁর মান্দায় কুসুম্বা ইউনিয়ানের পাকুড়িয়া গ্রামে ভিয়েতনামের গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাকবেবি ফল চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন ইমন। রাজশাহীর ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভেয়ারিং ইনস্টিটিউটের ছাত্র, ইসতেয়াক আহম্মেদ ইমন। ইমন জানায়, করোনাকালীন সময়ে ইন্সটিটিউট বন্ধ থাকায় ইউটিউবে বিভিন্ন রকম সম্ভাবনাময় কৃষি প্রোগ্রাম দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে, এই গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাকবেবি ফল চাষ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। পরে গ্রামের বাড়িতে এসে গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাকবেবি ফল চাষ শুরু করেন। তাদের নিজস্ব ৩৩ শতক জমিতে গোল্ডেন ক্রাউন ও ১৭ শতক জমিতে ব্ল্যাকবেবি ফল চাষ করেন। এই গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাকবেবি ফলের বীজ সংগ্রহ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে বীজ বপন করেন এবং মার্চ মাসের শেষের দিকে গাছে ফুল ও ফল দেখা দেয়। সার্বিক পরামর্শ প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবাযের মাসরুর এবং এতে আরও সার্বিক সহযোগিতা করেন তার চাচা আলম উদ্দিন ও স্থানীয় কীটনাশক ডিলার দুলাল হোসেন। তিনি বলেন এই ৫০ শতক জমিতে চাষ করতে তার প্রায় এক লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তার এই চাষ করা ফল বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক হারে চাষ করা হলে আরো লাভ হবে বলে তিনি আশা করেন। ফল চাষের জমি উর্বর করতে গোবর, কিছু পরিমাণে ডিএপি, পটাশ, জিপসাম, দানাদার ব্যবহার করেন এবং পোকা দমন করতে প্রাকৃতিক পদ্ধতি ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করেন। তার চাষ করা এই গোল্ডেন ক্রাউন এবং ব্ল্যাকবেরি ফল (ওয়াটার লেমন) প্রজাতির সুস্বাদু হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গোল্ডেন ক্রাউন ফল ওজনে তিন থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত হয় এবং ব্ল্যাকবেরি ফল দুই থেকে চার কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে বলে জানান তিনি। এলাকার এবং দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসছে ফল দেখতে ও কিনতে। কিন্তু ফল পরিপূর্ণ না হওয়ার কারণে মানুষ কিনতে পারছে না। তিনি আশা করেন ৭ দিনের মধ্যে ফল বাজারজাত শুরু করতে পারবেন। বাজারে প্রতিটি ফল ৫০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হলে প্রায় দুই – তিন লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর দেশ। তাই কৃষিকে আমাদের বশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তাই আমি পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষি উপর মনোনিবেশ করি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে। মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস আগামীতে সহযোগিতা করলে আরো নতুন নতুন ফল চাষ সহজতর হবে।