শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা থেকে :
পয়লা বৈশাখ শুভ নববর্ষ, আর কালীঘাট মন্দিরে ভোর থেকে জমে উঠেছে দোকান দারদের ভিড়, পুজো দেওয়ার জন্য, দোকানে দোকানে চলছে লক্ষ্মী গণেশ কেনার পালা, কোথাও ফুল কোথাও বা পুজো দেওয়ার প্রসাদ ,কেনা । সমস্ত কিছু ডালিতে ভরে তারা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন কালীঘাট মন্দিরের গেটের সামনে। এবং নজরদারি থেকে শুরু করে লাইনের পাশে পুলিশ মোতায়েন, যাতে কোনরকম অশান্তি বা দুর্ঘটনা না ঘটে , তার সাথে চলছে কালীঘাট মন্দিরের কাজ, তাই প্রশাসন থেকে বারবার সাবধান করে দেয়া হচ্ছে, ঠিকভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে একে একে ভেতরে ঢুকে পুজো দিন, এমনকি সকল পুরোহিতদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ,সেই মত, যারা পুজো দিতে এসেছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন ,আমরা দু’ঘণ্টার আড়াই ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছি, আর দশজন ১৫ জন করে ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে ,তারা বেরিয়ে গেলে পুনরায় প্রশাসন ঢোকাচ্ছে ভেতরে পুজো দেওয়ার জন্য, এই কদিন প্রচন্ড গরম পড়ায় আরো অসুবিধা হচ্ছে যারা পুজো দিতে এসেছেন, তারা বললেন কি করবো আজকে প্রথম দিন, দোকানে ঠাকুর বসাতে হবে, তাই তারা কালীঘাটে এসেছেন সমস্ত কিছু কিনে পুজো দিতে, তাহার মাঝে মাঝে ভিআইপিদের আনাগোনা পুজো দেওয়ার পালা, যাহার জন্য আরো দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ,তাহারাও আজকের দিনে মা কালীর মন্দিরে এসে পুজো দিয়ে যাচ্ছেন, দোকানদার রা বলেন আমরা পুজো দিতে এসেছি ঠিক ,কিন্তু জিনিসের যা দাম আমরা ভাবতে পারি না , যে প্রতিমা আমরা কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম লক্ষী গণেশ দেড়শ টাকায়, সেই প্রতিমা আজকের ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে , একদিকে যেমন মন্দিরে মন্দিরে ভিড় অন্যদিকে, দোকানে দোকানে জমে উঠেছে নববর্ষের পুজোয়, শুধু তাই নয়, নববর্ষ মানেই বাঙ্গালীদের হালখাতা, এই হালখাতা একটা রীতি হয়ে এসেছে, একদিকে যেমন নতুন ক্রেতারা আসেন ,অন্যদিকে পুরনো ক্রেতারাও আসে তাদের ঋণ কিছুটা শোধ করতে , কারণ তাহারা সারা বছর কিছু না কিছু কিনে লেনদেন করে থাকেন, আর এই নববর্ষ অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে দোকানদারদের কাছে যান, মিষ্টিমুখ করতে ও তার সাথে সাথে কিছু ঋণ শোধ করতে।