রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ অপরাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন পাবনা বেড়া পৌরসভা গড়তে চান আসিফ শামস রন্জন

Reading Time: 3 minutes

সার্বিক কারণে আমার অনেক দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে, সেক্ষেত্রে জাপানে যা দেখেছি তা আমার ভালো লেগেছে। বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করা, সময়মতো স্কুলে যাওয়া, বিদ্যুৎ অপচয় না করা, বিদ্যালয় অঙ্গণ ও নিজ বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখাসহ বিভিন্ন নিয়মানুবর্তিতামূলক কাজে শিশুদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বেড়া, পাবনা :
আমাদের কিছু লক্ষ্য এবং স্বপ্ন থাকে, যদি প্রতিনিধিত্ব করা না যায়, তবে সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। আর জনগণের বাইরে থেকে রাজনীতি করে সব কাজ করাও সম্ভব নয়।
মানুষ আমাকে ভালোবাসে, ভালো জানে তাই এই নিয়ে প্রথম বার তারা আমাকে মেয়র হিসেব দেখতে চান । ভবিষ্যতের বিষয়ে আগাম কিছু বলা ঠিক না, কতো মানুষ বলে আপনি এটা হবেন সেটা হবেন।
আমার এতো দরকার নাই, আমি যে অবস্থানে আছি সে অবস্থান নিয়েই চিন্তা করি। ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতেই বলা ভালো। পৌরসভাকে নিয়ে আমি না সবাই স্বপ্ন দেখেন। প্রথমবার যখন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দায়িত্ব পেয়েছি তখন থেকেই কিছু কাজ করার চেষ্টা করেছি, এবার আরো ভালো কাজ করার চেষ্টা করবো।
তারপরও আমরা অনেকে বলি আধুনিক, অনেকে বলে ডিজিটাল আবার আলোকিত। কিন্তু আমি বলতে চাই আধুনিক হোক আর ডিজিটাল হোক সবধরনের নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন একটি পৌরসভা গড়তে চাই।
সম্প্রতি ডেইলি সারাবংলা টোয়েন্টি ফোর ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথাই বলেন বেড়া পৌরসভার মেয়র প্রার্থী জনাব আসিফ শামস রন্জন।তিনি বলেন, আমরা তো কতো কিছু বলি তিন তলা রাস্তা দেবো পাঁচ তলা বাড়ি দেবো কিন্তু আসলে এটা ঠিক না, নাগরিক সুবিধা বলতে যেটা দরকার সেটাই দিতে আমি চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন , আমি যে অনারিয়ামটা পাবো অর্থাৎ যে টাকা সে টাকা দিয়ে পৌর এলাকার স্কুলের শিশুদের জন্য কাজ করবো। এর একটি অংশ আমি এতিমখানা/ হেজবুতখানায় দিয়ে থাকি। বাকি অংশ স্কুলের শিশুদের মাঝে ব্যয় করবো।
সার্বিক কারণে আমার অনেক দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে, সেক্ষেত্রে জাপানে যা দেখেছি তা আমার ভালো লেগেছে। বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করা, সময়মতো স্কুলে যাওয়া, বিদ্যুৎ অপচয় না করা, বিদ্যালয় অঙ্গণ ও নিজ বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখাসহ বিভিন্ন নিয়মানুবর্তিতামূলক কাজে শিশুদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ চিন্তা ভাবনা অনেক আগে থেকেই আমার নেওয়া, কিন্তু নির্বাচনের কারণে পারিনি তবে চলতি মাস থেকেই এ কাজগুলো শুরু করবো।
এক্ষেত্রে ঝুড়িসহ যাবতীয় জিনিসপত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমি সরবরাহ করে দেবো। এর পাশাপাশি পুরস্কারের ব্যবস্থাও করা হবে। যে ভালো করবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে, তাতে শিশুরা অনুপ্রাণিত হবে।
শিশুদের যদি নৈতিকভাবে গড়ে তোলা যায়, তাদের মাথায় যদি একবার ঢুকিয়ে দেওয়া যায় সে কিভাবে চলাফেরা করবে, দেশ ও দশের উপকারে আসবে তাহলে ভবিষ্যতের জন্য অনেক কাজই হয়তো আমাদের করতে হবে না। আসিফ শামস রন্জন বলেন, স্কুল লাইফ থেকেই আমি রাজনীতি করি। সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে ছিলাম। আমি পান, সিগারেট, চা খাই না। কর্মীরা আমাকে দেখে যেনো অনুসরণ করে, আমি সে চেষ্টা করি।
কিন্তু মাদক এখন এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে সব সময় আমি মাদকের বিরুদ্ধে ছিলাম। মাদক সমর্থন ব্যাক্তিরা তারা যাতে নির্বাচিত না হতে পারে। তখন চিন্তা করেছি তারা নির্বাচিত হলে দেখা যাবে যে এখানে মাদকের মহারাজ্য গড়ে উঠেছে। একজন মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী তারা নিজেকে ধ্বংস করে, পরিবারকে ধ্বংস করে, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে।
তিনি বলেন, আমি সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ছিলাম এখনো থাকবো। দুই/তিনটা বিষয়ে আমি কোনদিন থানায় সুপারিশ করিনি। সত্য হোক-মিথ্যা হোক মাদক নিয়ে কেউ আটক হলে আমি তাদের ব্যাপারে কখনো সুপারিশ করি নাই, পাশাপাশি নারী ঘটিত বিষয়সহ চুরি-ডাকাতির বিষয়েও না।
তিনি আরো বলেন, আগের মাস্টার প্লানকে ফলো করেই আমি প্রকল্প হাতে নেব । আমাদের যে খালগুলো বেদখল হচ্ছে সেখানে রিটার্নিং ওয়াল এবং পাশ থেকে যদি রাস্তা তৈরি করি তাহলে মানুষের চলাচলের রাস্তারও হোল আমাদের খালও রক্ষা হলো।
তিনি বলেন, বেড়া বাসস্ট্যান্ডের পাশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ছোট ছোট ঘর করে দিব এবং তাদের ৫ বছর সময় দেব। যাতে তারা আস্তে আস্তে টাকা পরিশোধ করতে পারে। আর এ টাকার পরিমাণ শুধু ঘরটি নির্মাণে যা ব্যয় হবে । সঠিক কাজ করলে গরিব মানুষের উপকার হবে।
তিনি বলেন বেড়া পৌর প্রতিটি ওয়াডের নানা মুখি উন্নয়নের কাজ করা হবে রাস্তা ঘাট, মসজিদ মাদরাসা, মন্দির, সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের উন্নয়ন করবো।
তিনি বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য পার্ক নির্মাণের জন্য জায়গা খুঁজে তাহা বাস্তবায়ন করবো । তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে বেড়া পৌরসভা অনেকটাই এগিয়ে নেব , ইতোমধ্যে পানির বিল, ট্যাক্সসহ প্রায় সব কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করা হলেও । ভবিষ্যতে এগুলোর পুরো প্রক্রিয়াই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পাদন করা হবে। এখন পৌর লোক গিয়ে টাকা নিয়ে আসতো। আর এখন বিল দিয়ে আসে গ্রাহকরা গিয়ে ব্যাংকে জমা দিয়ে আসবে।
ভবিষ্যতে এগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। তবে সময় লাগবে। বেড়া পৌরসভার কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে কিছু কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ যাবতীয় জিনিস সরবরাহ করার চেষ্টা করবো ।
সরকার একটা নিয়ম করছে পাঁচ বছর পর পর ট্যাক্স বাড়াতে হবে। প্রথমে যারা মেয়র হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তারা এমন জায়গায় ট্যাক্সটা রেখেছেন বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। আসলে ট্যাক্সের উপরই চলে পৌরসভা।
তিনি বলেন, ১৭ বছর পর বেড়া গ্রাহকদের জন্য পানির পাম্প চালু করা হলেও তা আরো আধুনিক করা হবে। বেড়া পৌর বাসি যদি আমাকে যোগ্য মনে করে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকার মনোনয়ন দেন আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হব ইনশাল্লাহ ।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com