শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন

News Headline :
কুষ্টিয়ার নিখোজ ২ এএসআই এর লাশ পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার এবার প্রকাশ্যে এলেন ইবি শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা পুলিশ কর্মকর্তা বিজয়-উৎপলকে ধরলেই মিলবে কাজেম হত্যার উত্তর: দাবি চিকিৎসকদের সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে  বিক্ষোভ ও মানববন্ধন  দেশদ্রোহী খুনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে–আহসান হাবিব লিংকন রংপুরে জমি লিখে না দেয়া মাকে বেধড়ক পেঠালো ছেলে ও ছেলের বউরা শ্রীবরদীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এতিম ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ মান্দায় মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৩শো গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ

নারী পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করে বদলি করলেন সিরাজগঞ্জের জেল সুপার বারেক

Reading Time: 2 minutes

বিশেষ সংবাদদাতা, রাজশাহী :

সিরাজগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্ণীতিসহ নানা ধরেনের অভিযোগ ওঠেছে। শিরোনামে একটি সংবাদ দৈনিক জাতীয় পত্রিকা সহ একাধিন অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পরে রওশন আরা নামের এক নারী জেল পুলিশকে সাসপেন্ড করে বদলী করেছেন সিরাজগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মোঃ আব্দুল বারেক।
গত বুধবার (২৬ অক্টোবর) ওই নারী পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের পর বদলী করা হয়।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন সময় কারা অভ্যান্তরে মহিলা ওয়ার্ডে ইচ্ছা মতো যাতায়াত করেন সুপার। দিনে দুইবার তিনবারও যান বলে জানা গেছে। এছাড়াও সরকারি জমিতে সবজি চাষ করার কথা থাকলেও তিনি সবজির পরিবর্তে আসামীদের দিয়ে ঘাস চাষ করান এবং বিক্রি করেন। কারাগারে হাজতী কয়েদী আসামিদের সাথে খারাপ আচারণ করেন। খাবারে আলু ও পটল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও প্রতিদিনই আসামীদের কচু খাওয়াচ্ছেন। কারাগারে জেল কোর্ড অনুযায়ী দড়ি রাখার নিয়ম না থাকলেও তিনি মহিলা ওয়ার্ডে মোটা দড়ি টাঙ্গিয়ে নিজ বাড়ির কাপড়-চোপড় শুকান।
বন্দীদের দিয়ে আদা, পিয়াজ, মরিচ ও রসুন মসলা করে নিজ বাড়িতে ও ঢাকার বাড়িতে পাঠান। সুপারের এই ধরনের কর্মকান্ড আইনবহিভূত বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুপারের তত্ত্বাবধানে কারা পিসি ও ক্যান্টিন পরিচালনা হয়। যেখানে একটি রান্না ডিমের দাম নেয়া হয় ৩৫ টাকা। আর দুই পিচ রান্না বয়লার মাংস ও দুই পিচ আলুর দাম নেয়া হয় ৭০ টাকা। যা বন্দীদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে এবং এক ধরনের জুলুম।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি কারাগারে পুরুষ ও মহিলা কারারক্ষীদের প্রতিনিয়ত অন্যায় অবিচার করে থাকেন। তাছাড়াও বিভিন্ন মাদক মামলার মহিলা আসামিদের নাম্বার সংগ্রহ করে তিনি তাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন।
কারাগারে তিনি একটি গরুর খামার তৈরি করে ৫টি গরু বন্দিদের দিয়ে পালন করছেন। সেই খামার তৈরীর জিনিষপত্র করাগারের অভ্যান্তরের বলে জানা গেছে। রহস্যজনক কারনে কারারক্ষী জনৈক সুইটিকে খুলনা এবং জেসমিনকে নাটোর জেলে বদলি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজশাহী জেলের এক উদ্ধতন কর্মকর্তা জানান, জেল সুপার বারেক একজন ব্যতিক্রম চরিত্রের মানুষ। তিনি নারী পুলিশ সদস্য  ও বন্দি নারীদের অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। তবে এটা তার পুরোনো অভ্যাস।
ভুক্তভোগী এক পুলিশ নারী সদস্য বলেন, জেল সুপার স্যারের কথায় রাজি হলে সমস্যা নাই। কিন্তু তার প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করলেই নেমে আসে নির্যাতন। যেমন, কড়া মেজাজে কথা বলা, ধমক দেয়া, সুযোগ বুঝে গায়ে হাত দেয়া এবং বিভাগীয় মামলা দিয়ে বদলি করা।
জেল সুপারের ব্যক্তিগত কারারক্ষী রিপন (ব্যাচ নং-৩২১৭৯) ক্যান্টিনের বাজার করে। কারারক্ষী কবির (ব্যাচ নং-৩২২১৯) অর্থ শাখা গুদামের দায়িত্বে নিয়োজিত। সেখানেই রয়েছে দূর্ণীতি। কারারক্ষী মামুন (ব্যাচ নং-৩২৮১৮) অফিসে কাজ করে এবং ওকালত নামায় সহি দেওয়ার জন্য আসামীদের স্বজনদের কাছে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করে থাকে।
কারারক্ষী রেজিয়াকে (ব্যাচ নং-৩১৬৬৭) দিয়ে অবৈধভাবে নিজ বাড়িতে সাংসারিক কাজ করান সুপার। তিনি আরও বলেন, রিজিয়া দাম্ভিকতা প্রকাশ করে বলে জেল সুপার আমাকে এই জেলে বদলি করে এনেছেন।
অভিযোগ ওঠেছে, কারারক্ষীরা তার কথা মতো না চল্লে বিভিন্ন অপরাধের অজুহাতে হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকেন। পরে সুযোগ মতো বিভাগীয় মামলা দিয়ে বদলি করে থাকেন জেল সুপার।এতো অনিয়মের পরও তার বহাল তবিয়্যতে চলছে তার নিত্যদিনের কর্মকান্ড।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে সুবেদার মজিত ও কারারক্ষী নুরুন্নবী মৃত বেল্লালের ছেলে মনিরুল (হাজটি নম্বার ৪০৭৯) নামের এক হাজতিকে কারাগারে ব্যপক নির্যাতন করে। যা কারা আইন অনুযায়ী কোনভাবেই কাম্য নয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক নারী কারারক্ষী বলেন, জেল সুপার মোঃ আব্দুল বারেক তাকে একাধিকবার অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার সাথে প্রায়ই খারাপ আচারন করেন তিনি।
এর আগে ব্যপারে জানতে জেল সুপারের মুঠো ফোন দিলে তিনি জানান, আপনারা এইসব মনগড়া কথা কোথায় পেলেন। আমার বিরুদ্ধে ভালমতো যাছাই করেন তারপরে নিউজ করেন। নইলে আপনাকে ছাড়ছি না বলে হুমকি দেন জেল সুপার মোঃ আব্দুল বারেক।
তবে শনিবার (২৯ আগস্ট) তার মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com