বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা,শেরপুর:
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উঠতি আমন ফসল এবং সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।গত পাঁচদিনের বৃষ্টিপাতে উপজেলার নিচু এলাকার শতশত একর জমির আমন ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আমন চাষিরা এ মৌসুমে ব্যাপক ক্ষতির
আশঙ্কা করছেন। বৃষ্টির পানিতে নি¤œাঞ্চলের বির্স্তীণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এছাড়া বেশিরভাগ এলাকার সবজি ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সবজি চাষিরাও পড়েছেন মহাবিপাকে।উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত (৯ অক্টোবর) টানা পাঁচদিন বৃষ্টিপাত হয়। এতে খর¯্রােতা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতে উজান থেকে নেমে আসে পাহাড়ি ঢল। উপজেলার বাঘবেড়, যোগানিয়া, কলসপাড় ও রাজনগর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এসব এলাকার আমন ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। তথ্যমতে, ৭ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে এবার আমন আবাদ হয়েছে এসব ইউনিয়নে। নি¤œাঞ্চলের প্রায় ১ হাজার ৬৯৫ একর আমন ধানের ক্ষেত গত চার দিন ধরে পানিতে ডুবে আছে। ১ হাজার ৩৬৭ একর জমির আমন আবাদ আংশিক পানিতে ডুবে আছে। এছাড়া সাড়ে ১৭ একর জমির শাক-সবজী
ক্ষেত পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। দুই একদিনের মধ্যে এসব এলাকার পানি ভাটির দিকে না নেমে গেলে উঠতি আমন ফসল ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে কৃষকরা জানান।উপজেলার উত্তর নাকশী এলাকার কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার আমন ধানক্ষেত প্রায় এক হাত পানির নিচে তলিয়ে আছে। এই পানি দ্রæত না নামলে ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হবে।ঘোগড়াকান্দি গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, প্রায় এক মাস আগে চার একর জমিতে আমনের চারা লাগিয়েছি। ক্ষেত প্রস্তুত করতে হালচাষ ও চারা রোপণ বাবদ একরে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ক্ষেতের ফসল চার দিন ধরে পানিতে তলিয়ে আছে।পানি সাথে জমিতে জমেছে কচুরিপানা। পানি না কমা পর্যন্ত আবাদের আশা করা যাচ্ছে না।পিপুলেশ্বর গ্রামের কৃষক লিটন মিয়া বলেন, এনজিও থেকে টাকা ঋণ নিয়ে ধানের আবাদ করেছি। বৃষ্টিতে ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। এখন এ ঋণের টাকা কীভাবে শোধ করবো ভেবে পাচ্ছিনা। আর সংসারই বা চলবে কেমন করে ? আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, টানা ভারীবর্ষণে উপজেলার বাঘবেড়, যোগানিয়া, কলসপাড় ও রাজনগর ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের আমন ফসল পানিতে ডুবে গেছে। তবে সোমবার থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। দুই এক দিনের মধ্যে যদি পানি সড়ে যায় তাহলে ফসলের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। তাছাড়া পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও নিরুপন করা যাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, কৃষককে সব ধরনের পরামর্শ দিতে উপজেলা কৃষি বিভাগ বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে কৃষকের পাশে দাড়াচ্ছে।