রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
রংপুর মহানগরীসহ এ অঞ্চলে থেমে নেই পলিথিনের ব্যবহার। নিষিদ্ধ এই পলিথিনে সয়লাভ হয়ে গেছে রংপুরের হাট-বাজার। রমজানে নিষিদ্ধ এ ব্যাগের ব্যবহার কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। ইফতারি দোকান, মুদির দোকান, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে প্রায় সব দোকানের পণ্য বহনে ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ । এর ফলে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। এনিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সচেতন মানুষজন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
সূত্রে জানা গেছে, রংপুর নগরীসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা এমনি গ্রাম পর্যায়ে সর্বত্রই বছরের পর বছর থেকে অবাধে পলিথিনের ব্যবহার চলে আসছে। রমজান মাসে এর ব্যবহার আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ব্যবহৃত এসব পলিথিন নগরীসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে, সড়কের পাশে ও মোড়ে মোড়ে যত্রতত্রস্থানে ফেলা হচ্ছে। অনেক সময় খাল এবং নদীতেও এসব পলিথিন যাচ্ছে। এতে পরিবেশ দুষণ বাড়ছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, একজন ক্রেতা পণ্য ক্রয়ের আগে খোঁজেন পলিথিন। এমনও ক্রেতা পাওয়া গেছে, যারা পলিথিন ছাড়া খরচ নেন না। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, এই পলিথিন যেখানে উৎপন্ন হয় সেখানে বা করতে হবে। তবেই পলিথিন মুক্ত হবে বাজার। প্রাপ্ততথ্যে জানা যায়, পলিথিন ব্যাগ বাজারের পাশপাশি বসত বাড়িতেও এর ব্যবহার বেড়েছে। শুধু রংপুর নগরীতে লাখো মানুষের বাড়িতে ফ্রিজ রয়েছে। ফ্রিজ ব্যবহারকারীরা তাদের পণ্য পলিথিনে রাখেন। এমন পরিস্থিতি রংপুর নগরীসহ এ অঞ্জলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিরাজ করছে।
চিকিৎসকরা বলছেন- এভাবে পলিথিনে পণ্য রেখে খাওয়া তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
সচেতন নাগরিক সমাজ বলছেন, আগে অনেকটা গোপনে পলিথিনের ব্যবহার এখন প্রকাশ্যে এর ব্যবহার চলে আসছে। এই যে রমজান মাসে এর ব্যবহার বাড়ছে। রমজান পরবর্তী সময়ে এভাবেই এর ব্যবহার থাকবে। জানা যায়, প্রায় বিশ বছর আগে পলিথিনের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনে আছে- পলিথিন ব্যাগ বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুদ ও বাণিজ্যিকভাবে বিতরণ করা যাবে না। আইন অমান্য করলে ১০ বছরের সন কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে। ৬ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে বাজারজাত করলে। সংশ্লিষ্টজনরা জানান, অনেক মানুষ থলি ব্যবহার না করায় পলিথিনের ওপর অধিক নির্ভরশীল। পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবিষয়ে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্য পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সকলকে পাটের ব্যাগে জোর দিতে হবে। তারা আরো জানান, ব্যবহৃত পলিথিন ড্রেনে যাচ্ছে, এতে করে জ্যাম লেগে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানিভাজন। এর কারণে বন্যার সময় ও সমান্য বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলবাদ্ধতাও সৃষ্টি হচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, পলিথিন মানবস্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। চিকিৎসকরাও এমনটি বলেছেন। নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়নো প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন। এজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও তারা জানান।