শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মোঃ মিজানুর রহমান-কিশোরগঞ্জ:
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষান-কৃষানীরা বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটিয়ে উঠোন বাড়ির আনাচে কানাচে তিল পরিমান জমি অনাবাদি না রেখে প্লাস্টিকের বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ।এতে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি আয়ের পথও দেখছেন তারা।সরেজমিনে নিতাই ইউপি’র পানিয়ালপুকুর চানষা পাড়া
গ্রামের কৃষক বুলবুল জানান,দীপ্ত টিভিতে বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক
অনুষ্ঠান দেখে এ বছর ৩শত বস্তায় আদা চাষ করেছি। তিনি আরো
জানান,বস্তায় আদা চাষের সুবিধা হচ্ছে,অনাবাদি জমির সদ্ব্যবহার, অন্যদিকে হালচাষ ও শ্রমিক বিহীন এ ফসল উৎপাদন হচ্ছে। আর
যাদের আবাদি জমি নেই তারাও ইচ্ছে করলে বসতবাড়ির
আশপাশে,আঙিনায়,সুপারি বাগান কিংবা অন্যান্য পতিত জমিতে
বস্তায় আদা চাষ করতে পারেন।এক একটি বস্তায় ২ থেকে ৩টি করে বীজ আদা রোপন করে ২থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব।বীজ লাগানোর সময় মাটি শোধন করায় রোগ বালাই কম হয়।সদর ইউপি’র রুপালি কেশবা গ্রামের সুমন জানান,বছরের অনেক সময় আদার দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।তাই কয়েক বছর ধরে স্বল্পপরিসরে মিল চাতালের ওয়ালে বস্তায় আদা চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয় হচ্ছে।ওই কৃষকদের পাশাপাশি সদর ইউপি’র
ইসমাইল যদুমনি গ্রামের কৃষক রশিদুল জমির আইলে ২৫০বস্তা,উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের আতাব্বর টোনেয়া বসত বাড়ির আঙিনায় ১৫০বস্তা আদা লাগিয়েছেন।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান,বর্তমানে উপজেলায় যাদের জমি কম এ ধরনের প্রায় হাজার খানেক কৃষক সবজি চাষের পাশাপাশি বস্তায় আদা
চাষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখছে। আর
কৃষি অফিস থেকেও বস্তায় আদা চাষে মাঠ পর্যায়ে কৃষককে উদ্বুদ্ধ
করা হচ্ছে।