শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার পিলখানা হত্যাকান্ড দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দিয়েছে-রাকিন আহমেদ পাঁচবিবিতে বিএনপির দুই গ্রুপের প্রতিবাদ সমাবেশ ঘিরে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি শেরপুর জেলা আ’ লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন কুমার পাল আটক পাবনায় মানবকল্যাণ ট্রাস্টের ৪ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজশাহী মহানগরীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ মাদক কারবারী গ্রেফতার পুনাক ও রাজশাহীর ক্ষদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন পাবনায় সাদ্দামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ছুরিকাঘাতে ৩জন আহত একজনের অবস্থা আশংকাজনক সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই আটক দুই কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

পাবনায় আদালতে আইনজীবির ফাইল ও আদালতের গুরত্বপুর্ন নথিভুক্ত কাগজপত্র চুরি বাদীগং ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শংকিত

Reading Time: 2 minutes

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা:

পাবনার আটঘরিয়া সহকারি জজ আদালতের এজলাশ চলাকালীন সময়ে মামলার যুক্তিতর্ক চলাকালে বাদীর নিযুক্ত আইনজীবির মামলার মুল কাগজপত্রসহ ফাইলটি চুরি হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় খোজাখুজি করেও সেটা উদ্ধার বা পাওয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনাটি ঘটে গত ১ নভেম্বর ২০২২তারিখে। আদালতের নথী ও বিশেষ সুত্রে জানা যায়, গত ১ নভেম্বর আটঘরিয়া সহকারী জজ আদালতে মামলা নং- ৫০৮/২০২১ মামলার এফপিএইচ এর দিন ধার্য্য ছিল। বাদী পক্ষের আরএস পর্চাসহ কিছু কাগজপত্র দাখিলের পর যুক্তি তর্কের জন্য ৬ নভেম্বর দিন ধার্য্য করেন বিচারক। গত ০১ নভেম্বর যুক্তি তর্কের সময় বাদীর আইনজীবি ফাইলটি টেবিলের পর রেখে যুক্তি তর্ক শেষ করেন এবং দেখেন তার ফাইলটি যথাস্থানে নেই। এরপর বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট হাতেম আলী ব্যাপক খোজাখুজি করেও ফাইলটি উদ্ধার করতে পারেননি। এ ব্যাপারে ওই দিন মৌখিকভাবে আদালতে পেশকার শাকিল ও পিয়ন রফিকুল ইসলামকে ফাইল হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অভিহিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবি। এরপর গত ৩ নভেম্বর আদালতের পেশকার শাকিল ও পিয়ন রফিকুল ইসলামের কাছে বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড: হাতেম আলী নথির কাগজপত্র পর্যবেক্ষনের জন্য তাদের কাছে আদালতের ফাইলটি দেখতে চান। এ সময় পিয়ন রফিকুল আদালতের ফাইলটি বাদী পক্ষের আইনজীবিকে দেখালে আইনজীবি বিবাদী পক্ষের সকল কাগজপত্রের ফিরিস্তি দেখতে পেলেও সেখানে বাদী পক্ষের প্রদর্শনীর ফিরিস্তির কোন কাগজ পত্র খুজে পাননি। এ সময় বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট হাতেম আলী পেশকার শাকিল ও পিয়ন রফিকের কাছে জানতে চান বাদী পক্ষের প্রদর্শণীর ফিরিস্তির কাগজগুলি কোথায়। এ সময় পিয়ন ও পেশকার বলেন, আমরা এই কোর্টে নতুন যোগদান করেছি, ফাইলের কাগজপত্রের বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না। এদিকে আগ্রুমেন্টের (যুক্তিতর্কের) পরে আদালতের মুল নথী থেকে অনেক গুরত্বপুর্ন কাগজ গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি এক কান দুকান করে ছড়িয়ে পড়ে বাদী পক্ষের লোকজনের মধ্যে। বাদী পক্ষের অভিযোগ, বিবাদীরা আদালতের আশে পাশের বাসিন্দা হওয়ায় তারা আদালতের পেশকার ও পিয়নদের যোগসাজশে মামলার নর্থী থেকে বাদীর উপস্থাপিত সকল গুরত্বপুর্ণ কাগজপত্র সরিয়ে ফেলেছে এবং তাদের সহযোগিতায় আমাদের আইনজীবির ফাইল চুরি করেছে। সঠিকভাবে আদালতের নথিতে কাগজপত্র না পেলে বিচারক এর রায় বিবাদীদের পক্ষে চলে যাবে। এতে করে বাদীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন বলে আশংকা প্রকাশ করছেন।
উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালে মামলার বাদী আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের মৃত মজির উদ্দিন বিশ^াসের ছেলে বাদশা বিশ^াসগং পাবনার ১ম সাব জজ আদালত পাবনায় বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৬৭/৯৭। মামলার বিবাদীরা হলেন পাবনা পৌর সাধুপাড়া মৃত তোরাব আলীর ছেলে সোরাবগং। বাদীদের অভিযোগ মামলা দায়েরের পর থেকেই বিবাদীরা স্থানীয় হওয়ায় আমাদের মারপিট ও বিভিন্ন সময়ে হুমকি প্রদান করে মামলা চালাতে বাধাগ্রস্থ করে আসছে। সম্প্রতি মামলার বাদী বাদশা বিশ^াসের মৃত্যুর পর তার ছেলে ইয়াছিন আলী পক্ষভুক্ত হয়ে মামলা পরিচালনা করতে থাকে। আদালত থেকে আইনজীবির ফাইল ও আদালতের নথি থেকে গুরত্বপুর্ন কাগজপত্র গায়েব হওয়ায় বাদীগং আশংকা প্রকাশ করেছেন আবারও মামলাটি তাদের বিপক্ষে চলে যাবে এবং ন্যায় বিচার থেকে তারা বঞ্চিত হবেন।
উল্লেখ্য ইতিপুর্বে মামলাটির একবার রায় হয়েছিল। সেবারও বিবাদী পক্ষ বাদী পক্ষকে আদালতে থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং মারপিট করে সঠিকভাবে মামলা পরিচালনা করতে বাধাগ্রস্থ করেছিল। এ কারনে সেবারও মামলাটি বাদীর বিপক্ষে চলে যায়। পরে বাদী পক্ষ উচ্চ আদালতে গেলে উচ্চ আদালত বাদীর দাবী ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে নি¤œ আদালতে বাদীর দেয়া সকল কাগজপত্র গ্রহন ও যাচাই করে মামলাটি নিস্পত্তির আদেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে মামলাটি আবার নি¤œ আদালতে দীর্ঘদিন ধরে কাগজপত্র ও স্বাক্ষিদের স্বাক্ষ্য গ্রহন করে শুনানী শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন পাবনার আটঘরিয়া সহকারী জজ আদালত এর বিচারক। এ সময়ে আইনজীবির ফাইল চুরি ও আদালতের নথি থেকে গুরত্বপুর্ন কাগজপত্র গায়েব হওয়ায় বাদী গং আবার আশংকা প্রকাশ করছেন মামলা তাদের বিপক্ষে চলে যেতে পারে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আইনজীবির ফাইল চুরি ও আদালত থেকে মুল্যবান কাগজপত্র চুরির রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের শাস্তি প্রদান এবং সেই সাথে বাদী ও বিবাদীদের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সঠিক রায় দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন বলে আদালতের বিচারকের কাছে বাদীগন প্রত্যাশা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com