মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 3 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঈশ্বরদী পাবনা:
প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্যই নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা অর্পিত থাকে দেশের পুলিশ সদস্যদের উপর। রাষ্ট্রের এই কঠিন দ্বায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের হতে হয় অতন্ত্র প্রহরী। আর যখন সেই নিরাপত্তা বাহিনী পুলিশের উপর রাষ্ট্রদ্রোহী নানা ধরনের অপবাদ আসতে থাকে তখন রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে এর বিরুপ প্রভাব পড়তে থাকে। তখন রাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে নানা অজানা আতঙ্ক বাসা বুনতে শুরু করে। ঠিক এমনই কিছু ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে ঈশ্বরদী উপজেলায়। যেটাকে অশনি সংকেত ভেবে আতঙ্কের ছোপ গল্প এবং পুলিশের নানা অপারগতার গল্প সাধারন মানুষের খোরাক যোগাচ্ছে চাযের দোকানসহ বিভিন্ন গল্পের আড্ডায়। সম্প্রতি ঈশ্বরদীতে পুলিশের ওয়াকি টকি ও হ্যান্ডকাপ সহ কিছু বহিরাগত অনাগনা দুটা ঘটনা ঘটেছে। গত ১০ আগস্ট রাতে উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামরী দাইড়পাড়া গোরস্থান এলাকায় এ ছিনতাইয়ের ঘটানা ঘটেছে। অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম ঈশ্বরদী শহরের পৌরসভার ঈদগা রোড আমবাগান এলাকার মো. আব্দুল আলিমের ছেলে। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে অভিযোগ কারী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার নিজের ব্যক্তিগত কাজ শেষে রাত আনুমানিক ৯.৪৫ ঘটিকার সময় রুপপুর মোড় এলাকা থেকে রওনা হয়ে তার শ্বশুরালয়ে যাওয়ার জন্য ছলিমপুর ইউনিয়নের সাকড়েগাড়ী হয়ে চরমিরকামারী গোরস্থান পাড়ার কাছাকাছি এলে পথিমধ্যে তার গতি রোধ করে দুটি মোটর সাইকেল তার সামনে দাঁড়ায়। কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই আরও দুটি মোটর সাইকেলসহ দুটি গাড়ীতে অজ্ঞাত মোট সাতজন (৭) তাকে গাড়ী থেকে নামতে বলেন। এসময় তাদের মধ্য থেকে একজন এসে তার হাতে প্রশাসনের ব্যবহৃত একটি হাতকড়া পড়িয়ে দেন এবং তার দেহ তল্লাশী শুরু করেন। তল্লাশীকালে তার কাছে থাকা নগদ সাত হাজার পাঁচশত টাকা (৭৫০০) এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি চক্রের সদ্যরা হাতিয়ে নেয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এদের মধ্য থেকে অপর আরেকজন রাকিবুলের হাতে একটি মদের বোতল ধরিয়ে দেন এবং সেই মদের বোতলসহ তার একাধিক ছবি তুলে নেন। মদের বোতলসহ তোলা তার ছবি দিয়ে এবার ছিনতাইকারীরা তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। ব্ল্যাকমেইল এক সময় রুপনেয় শারিরিক নির্যাতনে। এসময় নির্াতন কারীরা তাকে মদসহ পাওযার অভিযোগে ডিবির হাতে তুলে দেবার হুমকিসহ তাকে বেদম প্রহার করতে থাকে। প্রহারের এক পর্ায়ে রাকিবুলের বাড়ী থেকে দেড় লক্ষ্য টাকা ( ১,৫০০০০) চাঁদা দাবি করেন ছিনতাই কারীরা। সে সময় রাকিবুল সেই টাকা তার পরিবার দিতে পারবেনা বলে জানালে তাকে পঞ্চাশ (৫০) হাজার টাকা দিতে বলেন। রাকিবুল তার বাবা অসুস্থ জানান এবং তাদের পক্ষে কোন টাকা দেয়াই সম্ভব না বলে জানালে তাকে অপহরন কারীরা পুনরায় বেদম প্রহার শুরু করেন। প্রাণে বাঁচতে রাকিবুল দশ (১০) হাজার টাকা দেবার কথা স্বীকার করেন এবং সেই টাকা তার দুলাভাই মো. রাব্বি রাকিবুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ( যার নাম্বার ০১৭৮৬০৫৯৯০০ নাম্বারে) পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে রাকিবুল অভিযোগে আরও জানান, আমার মোবাইলের বিকাশে টাকা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ছিনতাইকারীরা আমার ফোনের ভেতর থেকে আমার সিমটি খুলে নেয় এবং আমাকে আমার বিকাশের পিন নাম্বার বলতে বাধ্য করে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। অতঃপর ভীত সন্তুস্ট রাকিবুল পরের দিন ১১ আগস্ট তার খোয়া যাওয়া সিমটি রিপ্লেস করেন এবং থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কিন্তু সাদা পোশাকের পুলিশ কারা এখন পর্যন্ত ঈশ্বরদী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শনাক্ত করতে পারেন নাই।
এরপর গত ২৩শে আগষ্ট রাত আনুমানিক ৯ টায় মোহাম্মদ (২৪) পিতা শাহজাহান গ্রাম মুচি পাড়া কে মটরসাইকেল নিয়ে দাওয়া করে আকবরের মোড় থেকে প্লাষ্টিকের বোতলে থাকা মদ সহ হাতেনাতে ধরে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে মোহাম্মদ কে চরথাপ্পর মারতে থাকে। এ সময় সরেজমিনে এই দৈনিক ভোরের পাতা ঈশ্বরদী প্রতিনিধি সাধা পোষাক ধারীদের জিঙ্গাসা করলে তাঁরা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে দ্রুত মোহাম্মদ কে মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে অরনখোলা হাটের দিকে চলে যায়।
এদিকে প্রায় ৪০ মিনিট পরে একটি সুত্র জানায় মদের বোতল সহ আটককৃত মোহাম্মদ কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক মোহাম্মদ আলীর সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে জানায় তাকে ঈশ্বরদী রুপপুর মোড়ে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে সে জানায় যারা আমাকে ধরে ছিল তারা পরিচয় দিয়েছে কুষ্টিয়ার ডিবি পুলিশ।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ জানান আমাকে মুন্নার মোড়ে নিয়ে গিয়ে আমার কাছে থাকা সাড়ে ৪ হাজার টাকা নিয়ে নেয় ।আরো বলে যে ফোন করে ১০হাজার টাকা নিতে পারবী মোহাম্মদ বলেন আমাকে এত টাকা কে দেবে আমি পারবো না পরে মোহাম্মদ কে তার মোটরসাইকেল টি দিয়ে দেয় পরে মোহাম্মদ বলে স্যার আমাকে ৫০টাকা দেন আমি মোটরসাইকেল তৈল নিয়ে যায়
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি অরবিন্দ সরকার জানান,এ বিষয়ে তদন্ত চলছে যত দ্রুত সম্ভব এদের আইনের আওতায় আনা হবে।