শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন

News Headline :
মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ভ্যান চালকের মৃত্যু রাজশাহীর মোহনপুরে মদ পানে ৩ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার ২ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাতটি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা যানজট নিরসন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরএমপি’র মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে এবার কৃষকরা আমন ধানের আশানুরুপ ফলন পেয়েছে পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ১জন আহত শাজাহানপুরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মান্দায় বিল উন্মুক্তের দাবিতে জেলেদের সংবাদ সম্মেলন সভাপতির স্বৈরাচারী আচরন স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে পাবনা শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির

পাবনার বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

Reading Time: 2 minutes

সেলিম মোর্শেদ রানা, বেড়া  পাবনা :

রাজধানীর দক্ষিণখানের আনিছবাগ ২৯২ নং ভাড়াবাসায় পাবনার এক কিশোরী মেয়ে রুপাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে পাবনার বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলা নং-৫৫৬/২০২২ ধারা ঃ৩০৬/৩৪/৫০৬ দন্ড বিধি । বুধবার (৯ নভেম্বর) ভুক্তভোগীর মা আংগুরী বেগম পিতা- মোঃ আনছার মিয়া স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম চন্ডিপুর বিরাহিম পুর থানা সাথিয়া জেলা পাবনা, বতমান ঠিকানা-দক্ষিন খাঁন,বাসা-৬৫৯ মাদ্রাসা রোড,দক্ষিন খান,ঢাকা বাদী হয়ে মূখ্য মহানগর হাকিম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহর আদালতে মামলা করেন । আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন পাবনা বেড়া উপজেলা নয়াবাড়ী গ্রামের মৃত আনছারের ছেলে মোতাহার, বসন্তপুর নগরবাড়ী গ্রামের মৃত কামাল সনদারের ছেলে জুনাব সরদার (৬০) ও গফুর মেম্বরের ছেলে বুক্কা (৪৫) । মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ৬ মার্চ আসামি রেজাউল হক বাবু ভুক্তভোগী তরুণী রুপাকে ধর্ষণ করেন। এ কথা কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তারপর থেকে গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আসামি রেজাউল হক বাবু ভুক্তভোগী তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে ভুক্তভোগী তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ভুক্তভোগী তরুণী ও তার মা বিষয়টি আসামি রেজাউল হক বাবুকে জানান। এরপর আসামি রেজাউল, মোতাহার, জুনাব সরদার, বুক্কা তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি অন্যদের জানাতে নিষেধ করেন। পরবর্তীতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী তরুণী আত্মহত্যা করেন। এ দিকে মামলার বাদী রুপার মা আংগুরী বেগম মুঠোফোনে বলেন তার স্বামী নাই । এলাকায় কিছু লোকের কাছে টাকা পাইতাম, পাওনা টাকা না দেওয়ায় পাবনা বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুর কাছে ফোনে বিচার দিলে, তিনি আমাকে আসতে বলেন। আমি ঢাকা থেকে দের দুই বছর আগে চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করি এবং আমার সব বিষয় খুলে বলি, উনি আমার টাকা তুলে দিবে এবং সহযোগিতা করবে বলে জানায়। এ দিকে আংগুরী বেগম ঢাকায় না ফিরতেই তার ফোনে চেয়ারম্যান বাবুর ফোন আসতে শুরু করে। এক পর্যায় তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক পরে তার ঢাকার বাসায় যাতায়াত। দির্ঘদিন বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে চেয়ারম্যান বাবু। আংগুরী বেগম আরো বলেন বাবু চেয়ারম্যান আমার সাথে সম্পর্ক করায় বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। সেই সুযোগে আমার ছোট নাবালিকা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মেয়ে রুপার উপর ও কুদৃষ্টি পরে এবং চেয়ারম্যান বাবু আমার মেয়েকে নিজের মেয়ে বলে বাহিরে ঘুরতে নিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। মেয়ে আন্তসত্বা হলে বিষয়টি আমার কাছে বলে। মা আংগুরী বেগম বিষয়টি চেয়ারম্যান বাবুর কাছে ফোনে বললে বাবু বিগত সব কিছু ভুলে যাওয়ার কথা বলে। নাবালিকা মেয়ে রূপা বিষয়টি জানতে পারে তার মায়ের সাথেও অবৈধ সম্পর্ক ছিল, তখন মেয়ে রুপা আত্বহত্যার পথ বেছে নেন। এ দিকে বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুর মুঠো ফোনে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায় নাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com