শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৫ অপরাহ্ন

News Headline :
সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই আটক দুই কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার পাবনা জেলার ১৯৬তম জন্মদিন উপলক্ষে কাগজে গ্রাফিতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাজারের আগুন: ত্রিশালের কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশছোঁয়া বিপাকে সাধারণ মানুষ কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সতর্ক বার্তা পাবনা র‌্যাবের অভিযানে ৪টি হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী গ্রেফতার নওগাঁ সোসাইটির নীতিমালা ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষের ঘর দখলের অভিযোগ অপরাধী ও দুষ্টু লোকদের স্থান বিএনপিতে হবে না বলে তারেক রহমান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন: কেন্দ্রীয় যুবদল সম্পাদক নয়ন পাবনায় সংবাদ প্রকাশের জেরে ওসির ইন্ধনে সাংবাদিকের খোজে সন্ত্রাসীরা মতিহারে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সোহেল গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

Reading Time: 2 minutes

মোঃ গোলাম রাব্বি, ভাঙ্গুড়া পাবনা:
পাবনার ভাঙ্গুড়া এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অত্র বিদ্যলয়ের ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকেরা ম্যানেজিং কমিটির কাছে এ অভিযোগ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে পাটুলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে এ বিষয়ে একটি মিটিং করেন। মিটিংয়ে ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষিকার অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির সকল বিষয় তুলে ধরেন এ সময় প্রধান শিক্ষিকা কানিজ ফাতেমা সকলের সামনে তার অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এসময় অত্র বিদ্যলয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি ওসমান গণি (রঞ্জু) মোল্লা প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ কানিজ ফাতেমাকে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে আত্মসাৎ কৃত সকল অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পরেন।
জানা যায়, পাটুলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ২৫৩ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। প্রাক প্রাথমিকে ৫০ জন, প্রথম শ্রেণীতে ৪৬ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৪২, তৃতীয় শ্রেণীতে ৪০ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ৪০ জন ও পঞ্চম শ্রেণীতে ৩৫ জন। প্রধান শিক্ষক কানিজ ফাতেমা ২০১৮ সালে মার্চ মাসে উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই সরকারের নিদের্শ অমান্য করে তিনি প্রতেক ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে পরিক্ষার ফি বাবদ ১ম শ্রেণীতে ৫০ টাকা,২য় শ্রেনী ৬০ টাকা, ৩য় শ্রেণী ৭০ টাকা, ৪র্থ শ্রেণী ৮০ টাকা, ৫ম শ্রেণী ১০০ টাকা করে আদায় করছে। নতুন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি বাবদ ১৫০ টাকা। প্রত্যায়ন পত্র বাবদ ২০০ টাকা। উপবৃত্তি ফর্ম পূরণ বাবদ ২০০ টাকা। পুরাতন বই ফেরত নিয়ে বিক্রি করা। বিভিন্ন কোম্পানির সৌজন্য গাইড বই ছাত্র ছাত্রীর কাছে বিক্রি করা। ডি আর বাবদ ১৫০ টাকা। বিভিন্ন দিবসে খেলা দুলা বাবদ টাকা আদায়সহ নানা অযুহাতে ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে বছরের পর বছর টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। কোন ছাত্র-ছাত্রী তার নির্ধারিত চাঁদার টাকা না দিলে সেই ছাত্র-ছাত্রীকে মারধরসহ তাকে স্কুল থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ তুলছে অভিভাবকেরা। চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী নিলিমার বাবা ইউপি সদস্য ওসমান গণিসহ একাধিক ছাত্র ছাত্রীর বাবা এই দুর্নীতি বাজ প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ কানিজ ফাতেমা সকল অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারি নিয়ম না থাকলেও অফিসের নির্দেশে আমি টাকা নিয়েছি। এই টাকা প্রতিষ্ঠানের কাজে লাগিয়েছি আবার কিছু সময় অফিস ম্যানেজ করতে হয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হাসান আলী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীর কাছথেকে কোন টাকা নেওয়ার বিধান নেই। যদি কোন শিক্ষক নিয়ে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ হাসান খান বলেন, সরকারি নিয়ম না মেনে টাকা নিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com