মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, বেড়া পাবনা:
পাবনার সাঁথিয়ায় পুন্ডুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে ভ্যান থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে লাঞ্চিত করেছে এমন সংবাদ ভিত্তিহীন ও মনগড়া একটি গল্প। একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোছাঃ তৌহিদা নাছরিনের স্বামী একজন অতি ভদ্র মানুষ। তিনি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা এবং তার অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ঘটনা বর্ণণা ৪.৪৫ ঘটিকা হলেও ব্যাংক ৫.০০ ঘটিকায় ছুটি হয়। প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করার বিষয়টি তিনি কিছুই জানেন না ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। অথচ উক্ত সহকারী শিক্ষকের স্বমীকে হয়রানি করা ও মিথ্যা মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছেন যা আদৌ সত্য না ।
পুন্ডুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাছরিন দীর্ঘ ১২ (বারো) বছর যাবৎ অত্যন্ত সুনামের সহিত শিক্ষকতার মহান দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে সহকারী শিক্ষক নাছরিনকে অপমান অপদস্ত ও চাকরীর ক্ষতিসাধন করার জন্য মিথ্যা ও হয়রানিমূলক কৈফিয়ত তলব করেছিল। অতি সাধারণ বিষয় নিয়ে একজন নারী সহকর্মীর সাথে সর্বদা খারাপ আচারণ করায় প্রতিবাদ করায় নাছরিনকে হয়রানিমূলক কৈফিয়ত তলব করেছে এবং নিজেকে বাঁচাতে মনগড়া গল্প সাজিয়ে তার স্বমীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে মিথ্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করেছে যা সমাজের অনেকের কাছে পরিষ্কার হয়েছে।
একজন নারী তার সম্মান, সম্ব্রম ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচবে ও কর্মস্থলে নিরাপদ থাকবে এটাই স্বাভাবিক ও তার মৌলিক অধিকার। প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষক মোছাঃ তৌহিদা নাছরিনকে, ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে অতিরিক্ত কাজ চাঁপিয়ে দেন, তার নিজ, পরিবার ও শশুড়বাড়ীর পরিবারের লোকদের নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর ও নোংরা কথাবার্তা বলেন, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন, ইত্যাদি অনেক কারনে প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের অন্যায় আচারনের প্রতিবাদ করায় উক্ত নারী শিক্ষককে হয়রানি ও মানুষিক ক্ষতিসাধন করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন। কথায় কথায় চাকুরিচ্যুতের ভয় দেখানো, বিভিন্ন বাহিরের লোকজন ডেকে নিয়ে নারী শিক্ষককে মারধোরের হুমকি দেওয়া, খারাপ আচারণ করা, বিভিন্নভাবে হয়রানি করা, এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে প্রতিবাদ করলে উক্ত নারী শিক্ষককে দেখে নেওয়ার জন্য বারবার হুমকি ধামকি দিচ্ছিলেন। নাছরিনকে কিভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায়, কিভাবে তার ক্ষতি করা যায় সে রাস্তা খুঁজতেছিলেন। বিকেলে বেড়া সিএন্ডবি মোড়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে ভ্যান থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে লাঞ্চিত করার ঘটনা মিথ্যা ও সাজানো, যার কোন সত্যতা নাই। ব্যক্তিগত ক্রোধান্বিত হয়ে, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে, তার মিথ্যাচারের পাহাড় ঢাকতে এসব মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন। সহকারী শিক্ষক মোছাঃ তৌহিদা নাছরিনের স্বামী বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় যে মিথ্যা খবর প্রকাশিত হয়েছে তা বানোয়াট ও মিথ্যা হওয়ায় তার স্বামী উক্ত মিথ্যা খবরের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য ইলেকট্রনিক ও প্রিন্টিং মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করেছেন। গত মঙ্গলবার দুপক্ষের সম্মানিত ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বসে আলোচার মধ্য দিয়ে তাদের দুপক্ষকে ডেকে দুপক্ষে কথা শুনে পূর্বের দ্বন্দের সমাধান ও ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম না করার প্রতিশ্রæতি করানো হয়েছে। বিষয়টি গণ মাধ্যম ও সাধরণ মানুষকে অবগতির জন্য প্রকাশ করা হলো।