শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

পাবনার সাঁথিয়া কাশিনাথপুর হাটে খাজনার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

Reading Time: 2 minutes

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা :

পাবনার সাঁথিয়ার কাশিনাথপুর হাটে খাজনা আদায়ের নামে ইজারদার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতি বছর উপজেলার সর্ববৃহৎ কাশিনাথপুর হাট থেকে লক্ষ লক্ষ আদায় হচ্ছে। অথচ উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা বছর শেষে হাট ইজারা দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করছেন। সরকারি নিয়ম অনুসারে প্রতিটি পণ্যের নাম তালিকা ও খাজনার পরিমাণ উল্লেখ করে হাটের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সাইনবোর্ড দেয়ার কথা থাকলেও তা মানছেন না ইজারদাররা। যার ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে খাজনা আদায়ের নামে জোরপূর্বকভাবে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতি নেয়া হচ্ছে । জানা গেছে, চলতি বছর ২০২৩ সনের জন্য কাশিনাথপুর হাটটি এক কোটি ১৫ লক্ষ টাকা ভ্যাস সহ এক বছরের জন্য সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এর ভাই আলমগীর কে কাছে ইজারা দেয়া হয়েছে।
উপজেলার হাটবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, উত্তরবঙ্গের প্রথম শ্রেণীর হাটগুলোর মধ্যে কাশিনাথপুর হাটের নাম আসে। এরপর সাঁথিয়া পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত সাঁথিয়া পৌর হাটের নাম রয়েছে। বগুড়া থেকে আগত গরু-ছাগল ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম অভিযোগ তুলে বলেন, এই হাটে প্রতিটি গরু ক্রয় ও বিক্রয়কারীর উভয়ের কাছ থেকে খাজনা নেয়া হচ্ছে। ক্রেতার কাছ থেকে প্রতিটি গরু প্রতি ৫০০ টাকা আর বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা হারে খাজনা আদায় করছে। ছাগলপ্রতি ২০০ টাকা হারে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। অন্য দিকে কাশিনাথপুর হাটে সবজি ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে হাট ইজারদার প্রতি মণ কাঁচা মালামালের জন্য ৪৫ টাকা আদায় করছেন। আবার কাঁচামালের বাজার চড়া হলে খাজনার পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। অথচ বিগত বছরগুলোতে প্রতি মণ ২০ থেকে ২৫ টাকা হারে খাজনা আদায় হতো। হারুন নামের অপর এক মুরগি ক্রেতা বলেন, আদায়কারীরা শতকরা২০ টাকা হারে ক্রেতা-বিক্রেতা দু’জনের কাছ থেকে খাজনা নিচ্ছে। তারা খাজনার নামে রীতিমতো জোরপূর্বক চাঁদাবাজি শুরু করেছে; যার কারণে বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরা কাশিনাথপুর ছেড়ে নাকালিয়া ও বেড়া সি এনবি হাটবাজার এবং তারাপুর এলাকায় নিজেস্ব আড়ত গড়ে তুলেছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে হাটের একাধিক খাজনা আদায়কারীরা বলেন, প্রতি বছর ইজারাদার শুধু হাট ইজারা নেন। এরপর তিনি হাটের বিভিন্ন অংশ আমাদের মতো খাজনা আদায়কারীদের কাছে সাব-ইজারা দেন। আমরা ইজারাদারের কাছ থেকে বেশি টাকা দিয়ে সাব-ইজারা নিতে হচ্ছে; যার কারণে আমাদেরকেও খাজনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হচ্ছে।
কাশিনাথপুর হাট ইজারদার আলমগীরের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে সাঁথিয়ার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল ইসলাম বাচ্ছু বলেন, হাট ইজারা দেয়ার প্রথম শর্তই থাকে পণ্যের নাম উল্লেখ করে খাজনার তালিকা বিভিন্ন স্থানে লাগানো। আর অতিরিক্ত খাজনা আদায় হচ্ছে এমন কোনো বিষয়ে কেউ আমাকে জানায়নি। তবে বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত হারে খাজনা আদায়ের বিষয়টি আমরা অচিরেই খতিয়ে দেখব। তবে খাজনা আদায়ের নামে যদি নিয়ম বর্হিভূত কোন কাজ হয় তা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com