বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন

News Headline :
মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ভ্যান চালকের মৃত্যু রাজশাহীর মোহনপুরে মদ পানে ৩ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার ২ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাতটি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা যানজট নিরসন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরএমপি’র মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে এবার কৃষকরা আমন ধানের আশানুরুপ ফলন পেয়েছে পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ১জন আহত শাজাহানপুরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মান্দায় বিল উন্মুক্তের দাবিতে জেলেদের সংবাদ সম্মেলন সভাপতির স্বৈরাচারী আচরন স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে পাবনা শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির

পাবনার হাটখালি চেয়ারম্যান দুই সংসারে সময় দিতে গিয়ে পরিষদে অনুপস্থিত অনিয়মের অভিযোগ

Reading Time: 2 minutes

মজিবুল হক লাজুকঃ
পাবনা সুজানগর হাটখালি ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মদ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। হাটখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ খান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরিষদে সাপ্তাহে ৫ দিনও বসেন না। এতে হাটখালি ইউনিয়নের সকল জনগন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও যেমন সচিবও থাকে না তেমনি চেয়ারম্যান ও বসেন না বলে হাটখালি বাসি জানায় । এলাকার মানুষ অভিযোগ করে আরো বলেন তার দুটি সংসার একটি বগুড়ায় আরেকটি হাটখালিতে। এক মানুষ হয়ে দুই সংসার চালাবে নাকি পরিষদ চালাবে? আমরা পরিষদর প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সেবা নিতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাটখালির একজন জানান আমাদের ভাগ্য কি এতই খারাপ যেই চেয়ারম্যানই আসে তাদের দুটি করে বউ হয় । চেয়ারম্যান দুই সংসারে জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে পরিষদে এসে সাধারন মানুষের সাথে খারাপ আচারন করছে। এইতো কয়েকদিন আগে উপজেলার ১০টি চেয়ারম্যানের সাথে একাত্বতা বোধ করে পরবর্তীতে গোপনে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনের কাছ থেকে মোটা অংকের বালু উপহার নিয়ে ৯টি চেয়ারম্যানের সাথে মিথ্যাচার করে। যা সুজানগরের মানুষ চরমভাবে ঘৃনার চোখের ফিরেজ চেয়াম্যানকে দেখছে। এ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকালীন ৩০ টন টিআর কাবিখা বরাদ্দ আসে যাহা সম্পূর্ন সচিব আওলাদের সাথে যোগসাজশে আত্মসাত করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরিদকে হাটখালি ইউপি সচিব মোঃ আওলাদ দীর্ঘ ১২ বছর সরকারী বিধি ভঙ্গ করে পরিষদ চালাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, পরিষদের ভবনে যে রং করা হয়েছে সেই রং টি সর্বনিম্ন মানের রং ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু অতিরিক্ত হারে বিল করা হয়েছে। সেইসাথে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নিয়ে কোন মিটিং ছাড়াই সে লক্ষ লক্ষ টাকার বিল ভাউচার উত্তোলন করছে। এ ব্যাপারে বারং বার চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ খানের ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি। একজন সরকারী কর্মকর্তা দুই বছরের বেশি একই স্থানে চাকারী করার বিধান নাই অথচ পেশী শক্তির জোর খাটিয়ে আওলাদ সচিব হাটখালি ইউনিয়ন পরিষদে রাম রাজত্ব কায়েম করছে। এ ব্যাপারে সচিব আওলাদ বলেন আমার এত শক্তি যে ডিসি সাহেব তো দূরে থাক কোন সচিব আমাকে বদলি করতে পারবেনা। তবে উল্লেখ্য ডিডিএলজি মোখলেছুর রহমানকে প্রতিমাসে হাটখালি ইউপি সচিব মাসোয়ারা দিয়ে থাকেন। এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন সচিবের মুখে দাড়ি আছে কিন্তু দাড়ির কোন ব্যবহার নেই । তিনি পরিষদে সেবা নিতে আসা সাধারণ ইউপি বাসির সাথেও খারাপ আচরণ করেন ও যে কোন কাজ বা সেবা দেওয়া সে টাকা ছাড়া করেননা। এ ছাড়াও জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশন সনদ, ট্রেডলাইসেন্স, দেওয়ার ক্ষেত্রেও এ সচিবকে অতিরিক্ত হারে টাকা দিতে হয়। আর টাকা না দিলে সে কোন কাজ করেননা বলে সচিবের বিরুদ্ধে ইউপিবাসি অভিযোগ করেন। হাটখালি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আওলাদ গোপনে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন অবৈধভাবে। তিনি অবসরে যাওয়ার আগেই এতো টাকা কোথায় পেলেন বলে হাটখালি বাসির প্রশ্ন? হাটখালি বাসি তাই দাবি জানিয়েছেন অতি দ্রুত এই সচিবকে এই ইউনিয়ন থেকে সড়ানো দরকার। এ ব্যাপরে হাটখালি চেয়ারম্যান ফিরোজ খানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন থাক রাখেন তো, যাওয়া আশা খরচ নিয়ে জান।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com