শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

News Headline :
রাজশাহী মহানগরীতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আ’লীগের সাবেক সভাপতিসহ গ্রেফতার ৯ নওগাঁর ১নং ভাঁরশো ইউনিয়নে কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ডাকাতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত ১ আসামি গ্রেফতার রাজশাহীতে ফের বাস ও সিএনজি চালকের সংঘর্ষ আহত ২ রাজশাহীর পুঠিয়ায় ইটের মাপ কমিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ পাবনায় বালুবাহি ট্রলি চাঁপায় পুলিশ সদস্য নিহত ১জন আহত আটক ২জন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার সমিতি’র নতুন কমিটি গঠন রাজশাহীতে ভরা মৌসুমে সারের তীব্র সংকট! আলু বীজ রোপণ করতে পারছেন না চাষিরা! দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকা’র সাংবাদিক না ফেরার দেশে চলে গেলেন আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা চেক বিতরণ ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

পাবনায় অপহৃত শাহজাহান হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আরও এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই

Reading Time: 2 minutes

নিজস্ব সংবাদাদাতা, পাবনা :
পাবনা জেলার পাবনা সদর থানার শালগাড়ীয়া প্লাস্টিক মোড় এলাকার বহুল আলোচিত শাহজাহান অপহরণ, হত্যা ও লাশ গুমের মামলার হত্যাকান্ডের সরাসরি জড়িত আরও এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই, পাবনা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আটঘরিয়া থানার গঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত কানু মন্ডল এর ছেলে মোঃ কাসেম মন্ডল (৫০) ও তার স্ত্রী মোছাঃ শিউলি বেগম (৪২। গতকাল রোববার সকালে জেলার ফরিদপুর থানাধীন ধানুয়াঘাটা বাজার এলাকা হতে তাদেও গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এ মামলায় তদন্তপ্রাপ্ত মোট ৫ জন আসামীর সকলকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যা অুনমান সাড়ে ৭টার দিকে শালগাড়ীয়ার মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর ছেলে শাহজাহান আলী (৪০) শালগাড়ীয়া প্লাস্টিক মোড় থেকে নিখোঁজ হয়। এ বিষয়ে শাহজাহানের পরিবারের লোকজন গত ০১/০৪/২০২১ খ্রিঃ পাবনা সদর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে। এরপর গত ৫ এপ্রিল দুপুর আড়াইটার দিকে বস্তাবন্দি লাশ আটঘরিয়া থানাধীন গঙ্গারামপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কাসেম মন্ডলের বসতবাড়ীর টয়লেটের সেফটি ট্যাংকের ভিতর হতে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
সংবাদ পেয়ে শাহজাহানের পরিবারের লোকজন উক্ত লাশ শাহজাহানের বলে দাবী করে। এ বিষয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিকটিমের ভাই মোঃ আব্দুল গফুর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। পাবনা সদর থানায় হত্যা মামলা নং ১৫, তারিখ-০৭/০৪/২০২১ ।
মামলাটি প্রথমে পাবনা সদর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরবর্তিতে পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার নির্দেশে উক্ত মামলাটি পিবিআই, পাবনা গত ১০এপ্রিল তদন্ত শুরু করে।
এ বিষয়ে পিবিআই পাবনা ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার জানাব মোঃ ফজলে এলাহী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ সবুজ আলী বলেন, ভিকটিম শাহজাহানের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে মোছাঃ যুথী আক্তার আদুরী তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরকিয়ার জের ধরে মামলার ভিকটিম শাহজাহান আলী (৪০), পিতা-মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, সাং-শালগাড়ীয়া গোরস্থান রোড, থানা ও জেলা-পাবনার সাথে মোছাঃ যুথী আক্তার @ আদুরী (২৮) এর সম্পর্কের টানাপোড়ন চলতে থাকে। ইতোপূর্বে গত ২৪/০৫/২০২১ খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরিত আসামী মোছাঃ যুথী আক্তার আদুরী তার পরিবারসহ যে বাসায় ভাড়া থাকত তার মালিক চট্টগ্রামে বসবাস করে। ঐ বাসার দেখাশোনাসহ সার্বিক দায়িত্ব ছিল ভিকটিম শাহাজাহানের উপর। যুথী আক্তার @ আদুরীর ভাড়া বাসা সংলগ্ন নয়ন ফটোস্ট্যাটের দোকান ছিল ভিকটিম শাহজাহানের। উক্ত কারণে তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ হতো। তাদের মধ্যে পরিচয় হলে মোবাইল ফোনে মাঝেমধ্যে কথা বলতে থাকার কারণে এক পর্যায়ে পরকিয়ার সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। শাহজাহান ব্যক্তি জীবনে অবিবাহিত ছিল। ভিকটিম শাহজাহান যুথীকে স্ত্রীর মত ব্যবহার করতে চাইতো। কিন্তু যুথী এক পর্যায়ে শাহাজাহানের প্রতি প্রচন্ড অতিষ্ট ও বিরক্ত হয়ে সকল ঘটনা তার পরিবারকে খুলে বলে। তখন যুথী ও তার স¦ামী ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ ইব্রাহীম ও যুথীর বোন শিউলি ও দুলাভাই কাসেম মন্ডলের সাথে শাহজাহানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুথীর স্বামী জাহাঙ্গীর আলম শাহজাহানকে হত্যার জন্য ১০ টি ঘুমের ঔষধ কিনে যুথীকে দেয়। যুথীর ভিকটিম শাহজাহানকে হত্যার উদ্দেশ্য শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনার দিন গত ৩১/০৩/২০২১ খ্রিঃ সন্ধ্যা অনুমান ১৯.৩০ ঘটিকায় পূর্ব নীল নকশা অনুযায়ী অন্যান্য আসামীদের সাথে পরষ্পর যোগসাজস করে সু-কৌশলে আটঘরিয়া থানাধীন গঙ্গারামপুর গ্রামস্থ যুথীর দুলাভাই গ্রেপ্তারকৃত আসামী কাসেম মন্ডল ও শিউলি দম্পতির বাড়ীতে হত্যার উদ্দেশ্য অপহরণ করে নিয়ে যায়। উক্ত বাড়ীতে যুথী ও শিউলি পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক খাবারের মধ্যে ১০ টি ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ভিকটিম শাহজাহানকে খাওয়ায়। ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত খাবার খেয়ে ভিকটিম শাহজাহান আলী ঘুমিয়ে পড়লে যুথী তার স্বামী জাহাঙ্গীর, কাসেম, শিউলি ও ইব্রাহীম ভিকটিম শাহজাহানকে অচেতন অবস্থায় হাত-পা চেপে ধরে গলার রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। একপর্যায়ে তারা উক্ত লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্দি করে আটঘরিয়া থানাধীন গঙ্গারামপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ কাসেম মন্ডল (৫০), পিতা-মৃত কানু মন্ডল এর বসতবাড়ীর টয়লেটের সেফটি ট্যাংকের ভিতরে ফেলে দিয়ে খড়-কুটা দিয়ে ঢেকে রাখে। পরবর্তিতে সকল আসামী বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যায় বলে জানান। উল্লেখ্য যে, অত্র মামলার ঘটনায় ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃতরা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিজেদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com