রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

পাবনায় সাংবাদিক সৈকতের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ

Reading Time: 5 minutes

এম.আর রাসেল হোসাইন, পাবনা :
সাংবাদিক সৈকত আফরোজ আসাদের বিরুদ্ধে প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায়, নারী কেলেংকারী, মাদক সেবনসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিকতার আড়ালে ইতিপুর্বে সুদের ব্যবসার জন্য সমিতি করে তাদের থেকে উচ্চহারে সুদ নিয়ে অনেকেই পথে বসানোর অভিযোগ রয়েছে। এরপর যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরীর কারখানাও স্থাপন করেন। এক পর্যায়ে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে ব্যার্থ হওয়ায় শরীকদের সাথে মতনৈক্যর কারনে সে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সৈকত পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ সে বাংলাদেশ প্রতিদিন, সময় টিভির পাবনা প্রতিনিধি। এ কারনে সে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তির কাছে জোরপুর্বক চাঁদা আদায়সহ নানাভাবে অর্থ আদায় করে থাকেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাবনাবাসী। এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পাবনার বিত্তশালী পরিবারের সন্তান রাজনীতিবিদ, সাবেক নির্বাচিত বেড়া উপজেলার চেয়ারম্যান ও সাবেক পাবনা ২ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আজিজুল হক আরজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রকাশ করে। এ কারনে সৈকতের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন ওই সংসদ সদস্য। সেই মামলায় সৈকতের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে প্রেসক্লাবের সম্পাদক ও জাতীয় ২টি গুরত্বপুর্ন মিডিয়ায় কর্মরত থাকায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বা প্রতিবাদ করার সাহস পায় না নির্যাতিতরা। আরো জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের ক্যাডার রাজনীতি করার কারনে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মিথ্যা খবর প্রকাশ করার অভিযোগ রয়েছে। গত সংসদ নির্বাচনে ঈশ্বরদী ৪ আসনে একজন প্রার্থীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের কাছে গনপিটুনির শিকার হন। পরে তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভুমিমন্ত্রী মরহুম শামসুর রহমান শরিফ ডিলুর ছেলে যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরিফ তমালের নামে মামলা করে মরহুম ডিলু এমপিকে বির্তকিত করতে চেয়েছিল। বর্তমানে সে নিজের অপকর্ম ঢাকতে পাবনা আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামের ছত্র-ছায়ায় সকল অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তার জন্মস্থান পাবনা আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নে। তার বাপ-চাচারা জামায়াত রাজনীতির সাথে জড়িত। তার ভাই ও আত্মিয়রা শিবিরের রাজনীতিতে সাথে জড়িত। বর্তমানে নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে আটঘরিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে অব্যহতিপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতা ও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী তানভীরের ছত্রছায়ায় সকল অপকর্ম করে যাচ্ছেন। সে প্রভাব বিস্তার করে উপজেলার চেয়ারম্যান তানভীরের সহায়তায় স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জোর পুর্বক সভাপতি হওয়ার পায়তারা করছে। এ নিয়ে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস ও তার ছেলে দোলন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশসহ সুনাম ক্ষুন্ন করতে ও মানসিক চাপে রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন। সৈকত বর্তমানে উপজেলার চেয়ারম্যান তানভীরের ছত্র-ছায়ায় চললেও সে একেক সময় একেক আওয়ামীলীগের গ্রুপে আশ্রয় গ্রহন করে। একগ্রুপের সাহায্য নিয়ে অপর পক্ষের একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশ করে থাকে। শুধু তাই না পাবনায় স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা, সাংসদ ও দলীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নিউজ করতে ঢাকায় কর্মরত ক্রাইম রিপোটার ও সিনিয়র সাংবাদিকদের তথ্য প্রদান করে, এমনকি নিউজ তৈরী করে দিয়ে তা প্রকাশিত করে নিজেকে আড়াল করে রাখেন। প্রেসক্লাবের বকেয়া ৮০ লাখ টাকার বিদ্যুত বিল পরিশোধের নামে বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছেন। করোনার ২য় ধাপে সাংবাদিকদের চিকিৎসা ও সহায়তার নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা চাঁদা তুলে আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে। এ কারনে পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতির সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে মতবিরোধ চলে আসছে। কেউ চাহিদা মাফিক টাকা না দিলে তাকে ভয়ভীতি ও নিউজ করার ভয় দেখিয়ে জোর পুর্বক টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সৈকতের বিরুদ্ধে। চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে বিকাশে গ্রহনকৃত টাকা একজন যুবলীগ নেতা ও একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরত দেওয়ার কথোপকথনের ঘটনায় সোস্যাল মিডিয়ায় সেই সময়ে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। এরই জের ধরে সম্প্রতি ওই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গনমাধ্যমে নামে বেনামে খবর প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয় ওই শিল্প প্রতিষ্ঠানের এমডিকে হেয় প্রতিপন্ন করতে ব্যবসায়ীদের সাথে জরুরী সভার অডিও ক্লিপ তাদের পরিচালিত অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচার করে ওই কোম্পানীর সুনাম নষ্ট করারও অভিযোগ উঠেছে। চাহিদামত টাকা না পেলেই তারা পাবনার বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, শিল্পপতি ও সমাজের বিশিষ্ঠ জনদের বিরুদ্ধে নিউজ করার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার নামে-বেনামে সম্পদ ও অবৈধ আয়ের উৎস খুজে বের করলেই তার নগ্ন রুপ সবার কাছে উম্মোচিত হবে। এদিকে তার বিরুদ্ধে রয়েছে, নারী কেলেংকারী, মদ পান ও গাঁজা সেবনের অভিযোগ। ২০০৬ সালে নারী কেলেংকারীর কারনে স্থানীয় জনগণের রোষানলে পড়ে পাবনা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। এরপরে আওয়ামীলীগ সরকায় ক্ষমতায় এলে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতার মধ্যস্থতায় পাবনায় আসেন। এরপরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক প্রক্টরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সেখানকার ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। এরপর ওই প্রক্টরের পদ স্থাগিত হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রোভিসিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর প্রকাশ করে আর্থিক সুবিধা লাভ করেন। তাদের মিথ্যা সংবাদের কারনে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি সারাদেশে আজ দুনীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। ২০১৮সালের আগ পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সারাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হওয়ার জন্য পাবনায় আগমন করতো। অথচ তাদের মিথ্যা সংবাদের কারনে এখন এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি দেশবাসী মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অভিভাবকদের কাছে একটি দুর্নীতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। সৈকত গংদের আর্থিক চাহিদা পুরন করতে ব্যার্থ হলেই তাদের টার্গেটকৃত ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধারাবহিকভাবে খবর প্রকাশ করে, মানসিক চাপে ফেলার অপতৎপরতা শুরু করে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের মাদক সেবন কর্মকান্ড স্বাভাবিক রাখতে কয়েকজন মাদক সেবিকে পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্য করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহি পাবনার প্রেসক্লাবকে কলংকিত করতে তারা পাবনার সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে একাধিক সাংবাদিক সংগঠন গড়ে তুলেছে। শুধু তাই নয়, সৈকত সাংবাদিক গংদের স্বৈরাচারী আচরনের কারনে পাবনায় একাধিক প্রেসক্লাবের জন্ম হয়েছে। যা গত ৬০ বছরের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দিয়েছে। উল্লেখ্য গতবার আওয়ামীলীগপন্থি একটি গ্রুপের কাছে অঙ্গিকার করে প্রেসক্লাবের কার্যানির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদকের পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেখানে স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটায় বর্তমানে সে পাবনার বিএনপি’র এক প্রভাবশালী নেতার লেজুরবৃত্তি করছেন। স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলেই সৈকত যে কোন সময়, যে কোন ব্যাক্তির সাথে প্রতারনা করতে বা তার বিপক্ষে গিয়ে হেনস্তা করতে পিছু পা হননা। সম্প্রতি অনন্য সমাজ কল্যান সংস্থার নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে নিউজ প্রকাশ করেছে সৈকত গং। খবর নিয়ে জানা গেছে, অনন্যা সমাজ কল্যান সংস্থার পরিচালক ছিলেন রোনাটারিয়ান আজিম উদ্দিন। সেই সময়ে নির্বাহী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে সকল দায়িত্ব পালন করতেন রোটারিয়ান আজিম উদ্দিন। দায়িত্বপালনকালে অনেক টাকা আত্মসাত করে অনন্য সমাজ কল্যান সংস্থাকে অর্থশুন্য করে ফেলেন। এই রোটারিয়ান আজিম নিজের অপকর্ম ঢাকতে দৈনিক পাবনার চেতনা নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এদিকে আজিম উদ্দিন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে সংস্থার হিসাব নিকাশে চরম গড়মিল ধরাপড়ে। এরপর থেকে সংস্থাটি আর্থিক সংকটে দেউলিয়া হয়ে পড়ে। পরবর্তিতে সংস্থাটির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নিতীর মামলা হয়। এ ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে মরহুম রোটারিয়ান আজিমের ছেলে নিজেদেরকে রক্ষা করতে সৈকত গংদের স্বরনাপন্ন হন। সৈকত গংদের বিপুল পরিমান আর্থিক সুবিধা দিয়ে নিহত আজিমের ছেলে আদনান নিজেকে সাংবাদিক হিসাবে বিভিন্ন যায়গায় পরিচয় প্রদান করে। সৈকত গং নিজেদের স্বার্থে যে কোন সাংবাদিক বা তার প্রতিদ্বন্দি ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কথিত সাংবাদিক আদনানকে দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করিয়ে মানহানি করে থাকে। সম্প্রতি মডেল প্রেসক্লাব পাবনা নামে একটি নতুন প্রেসক্লাব গঠিত হয়েছে। ক্লাবটি গঠিত হওয়ার পর থেকেই সৈকত গং নিজেদের আয়ত্বে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। ব্যার্থ হয়ে আদনানকে দিয়ে মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজ প্রকাশ করান। এ বিষয়ে জানতে মডেল প্রেসক্লাব পাবনার সভাপতি নাহিদ মিথুনের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে খবর প্রকাশ হযেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। এর কোন ভিত্তি নেই। মডেল প্রেসক্লাব গঠন করায় আক্রোশমুলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করেছে। সাবেক সাংসদ আজিজুর হক আরজু বলেন, সৈকত গং আমাকে হেনস্থা করতে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করে আমার সম্মানহানী করেছে। এজন্য সাইবার ট্রাইব্রুনালে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। ঈশ্বরদীর যুবলীগ নেতা বলেন, সৈকত গং আমার প্রতিদ্বন্দিদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে নানা সময়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে সম্মান হানী করেছে। উল্লেখ্য আদনান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্র বিরোধী ও সরকার বিরোধী পোষ্ট ও লাইভ দিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন। গত বছর কন্ঠশিল্পি মমতাজকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য ও কটাক্ষ করায় মমতাজ ভক্তরা তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে গণধোলায় দেয়। পরে আক্রোশকারীদের কাছ থেকে মাফ চেয়ে আইনি জটিলতা থেকে মুক্ত হন। এছাড়া কথিত সাংবাদিক আদনান এটিএন বাংলার সাংবাদিককে হত্যা ও গুম করার ঘোষনা দিলে তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন ভুক্তভোগি। পরে আদালতে দাড়িয়ে ক্ষমা চেয়ে ও পরবর্তিতে এ ধরনের কোন অপকর্ম করবে না মুচলেকা দিয়ে প্রথমবারের মত আদালত থেকে জামিন গ্রহন করেন। এদিকে আদনানের বিরুদ্ধেও ফেসবুকে মেয়েদেরকে বন্ধু বানিয়ে, তাদের সাথে অনৈতিক প্রতারনার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে ফোন করা হলে সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com