শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১২ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
এম, আর রাসেল হোসাইন, পাবনা:
পাবনায় আত্মসমপর্নকৃত চরমপন্থি নেতা মুসা হত্যার ঘটনায় ৫ চরমপন্থি সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। গতকাল রোববার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলার থানার ফারাদপুর নতুন পাড়ার মোঃ নাহিদের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার ও অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি গতকাল (১৪ নভেম্বর) বেলা ১২টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন, পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী খান। তিনি জানান, গত ২৬ অক্টোবর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের অলির মোড়ে নিহত হন ২০১৯সালে আত্মসমপর্নকৃত সর্বহারা নেতা মুসা খান(২৮)। খুনিরা গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা নিশ্চিত করে সর্বহারার শ্লোগান দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন ধরে তদন্তে আসামী সনাক্ত করতে সক্ষম হন পুলিশ। এরই জেরে পুর্ব বাংলা সর্বহারা মাওবাদী বলশেভিক গ্রুপের ৫ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি অত্যাধুনিক সাব মেশিন কার্বাইন(এসএমসি),এসএমসির ২টি ম্যাগজিন, ১৫ রাউন্ড এসএমসির গুলি, একটি নাইন স্যুটার, নাইন স্যুটারের ৩২ রাউন্ড গুলি, একটি বিদেশী পিস্তল, পিস্তলের ম্যাগজিন ১টি, একটি ওয়ান স্যুটার গান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাবনা চাটমোহর উপজেলার কদমতলি গ্রামের আব্দুল হাই ওরফে সামাদের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে শুটার সিরাজ(২৫), আটঘরিয়া উপজেলা নগরচাচকিয়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে একরাম হোসেন (২৫), আমিনপুর থানার চরদুর্গাপাুর গ্রামের কোরবান ব্যাপারীর ছেলে শরিফুল ইসলাম(২৫), আতাইকুলা থানার ফারাদপুর গ্রামের গফুর প্রামানিকের ছেলে নাহিদুল ইসলাম ওরফে শাকিল(১৯), রাজবাড়ি জেলার চরভরাট গ্রামের আজিজুল প্রামানিকের ছেলে জালাল প্রামানিক(২৮)। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পাবনা জেলাসহ পাশ^বর্তি কয়েকটি জেলায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো জানায়, পাবনা সদরে সম্প্রতি ৩টি হত্যাকান্ডে সর্বহারা মাওবাদী বলশেভিক গ্রুপটি জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম, পাবনা সদর সার্কেল রোকনুজ্জামানসহ জেলা পুলিশ, ডিবি পুলিশের সদস্যসহ একাধিক পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সদস্যরা।
উল্লেখ্য ২০১৯সালে চরমপন্থি সদস্যরা আত্মসসমর্পন করার পর এই প্রথম বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগ্যাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় পাবনা জেলা পুলিশের এ সাফল্য সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক স্বস্তি এনেছে।