শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
তালুকদার রাসেল,পাবনা:
পাবনা পুষ্পপাড়া,মধুপুর থেকে রাজাপুর পর্যন্ত পাবনা – নাটোর মহাসড়কের প্রায় ৩৮ কিঃ নির্মাণকাজের প্রকল্পটি প্রায় ১৯ কোটি টাকার। প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়নের জন্য ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাগর বিল্ডার্স কোম্পানিকে ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে কার্যাদেশ দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ২০২০ সালের ২৩ই ডিসেম্বর কাজটি শেষ করা হয়। কাজের ধরন ডিবিএসটি এবং পুরো রাস্তার পিচ তুলে মোটা ও চিকন পাথর দিয়ে তৈরি করার কথা থাকলেও কাজ হয়েছে নিম্নমানের। যেখানে বিটুমিনের ব্যবহার প্রয়োজনের চেয়ে কম, নিম্নমানের পাথর ও পিচ ভারী ভাবে ব্যবহার না করে হালকা ভাবে ঢালাই করা হয়েছে। এমনকি কাজের মেয়াদ তিন বছর হলেও, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে নিম্নমানের কাজ করে রাস্তাটি সম্পন্ন করেন। ফলে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার অল্প সময় পরেই বেশিরভাগ জায়গায় পিচ উঠে গর্ত হয়ে যায়। এমনকি কাজের মেয়াদ থাকাকালীন রাস্তা ভেঙে গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করে দেওয়ার কথা থাকলেও, তা না করে কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই সংস্কার করছেন পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বিশেষ করে এই মহাসড়কের ব্যস্ততম জায়গা দাশুড়িয়া থেকে রাজাপুর প্রায় ৭ কিঃ দীর্ঘ এই অংশে রাস্তা দেবে গিয়ে বড় বড় গর্ত ও অনেক জায়গায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এমনকি সংস্কারের জন্য নিয়মিতই সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে পিচ উঠে যাওয়া ভাঙ্গা গর্ত গুলো পূরণের জন্য কখনও ব্যবহার করছে ইট আবার কখনও হালকা পাথর দিয়ে পিচ ঢালাই করতে দেখা যায়। আর এ কারণে মহাসড়কটিতে চলাচলকারী যানচালক ও যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগ দুর্ঘটনা পোহাতে হচ্ছে।
যানচালক ও যাত্রীদের ভাষ্য হচ্ছে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার কারণে কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়ক ভাঙা শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাগর বিল্ডার্স এর নির্বাহী পরিচালক বাপ্পির মুঠোফোনে অধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে। অবশেষে মুঠোফোনে তাকে পাওয়া গেলেও রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। তিনি বলেন এ বিষয়ে জানতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে কথা বলতে।
তৎকালীন সওজের পাবনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে.এম.শামসুজ্জোহার কাছে পাবনা পুষ্পপাড়া থেকে নাটোর রাজাপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে তথ্য ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাগর বিল্ডার্স এবং সড়ক বিভাগের নানা অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন তথ্য না দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।
সাধারণ মানুষ ও সচেতন মহলের প্রশ্ন এভাবে দুর্নীতি হচ্ছে কিন্তু তা দেখার কেউ নেই কেন ? সড়ক সংস্কারে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পরও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি দুঃখজনক। সড়ক সংস্কারের নামে এভাবে জনগণের কোটি কোটি টাকার অপচয় মেনে নেওয়া যায় না। তাদের দাবি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।