দেশের সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন শ্রেণির পরিবহণে চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে দীর্ঘদিন ধরে। পাবনার সাঁথিয়া পৌসভার টার্মিনাল এবং গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্থান থেকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকা উঠানো হচ্ছে। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই প্রতিদিন চলছে এই চাঁদাবাজি। পিকাপ চালক রবিউল জানান, আজ সাথিয়া বাজার হয়ে আসার সময় দুই জায়গায় টাকা নিয়েছে এক জায়গা ৫০ টাকা ও অন্য জায়গায় ২০ টাকা। টাকা দিতে না চাইলে বলে গাড়ী রেখে যান। এ-র চেয়ে বেশি কিছু বললে আমাদের উপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। পরে বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে যেতে হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে পাবনার সাঁথিয়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাঁথিয়া পৌর এলাকায় ইছামতির পাশ দিয়ে বয়ে চলা সড়কে একটা ছেলে ছোট বড় গাড়ী গুলো হাত দিয়ে সিগনাল দিয়ে ঠেকাচ্ছেন ও প্রতিটি গাড়ী থেকে ১০ টাকা,২০ টাকা,৫০ টাকা করে নিচ্ছে। টাকা নেওয়া ছেলেটাকে কেন কিসের টাকা নিচ্ছেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সাঁথিয়া পৌরসভার টোল, পৌরসভার অনুমতিতেই নেয়া হচ্ছে। কাছে গিয়ে টোকেন দেখতে চাইলে তিনি সাঁথিয়া পৌরসভা অনুমোদিত একটা টোকেন দেখান। যার ক্রমিক নং ২৩২৩। প্রতিটা ছোট-বড় গাড়ী থেকে টাকা তুলছে ঝন্টু নামের এক ব্যাক্তি। গাড়ি থেকে টাকা নেয়ার বিষয়ে ঝন্টুর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাঁথিয়া পৌরসভার পিয়ন পরিচয় দিয়ে বলেন, ভুল করে একজন কোম্পানির গাড়ি চালকদের কাছ থেকে দুইবার টাকা নেয়া হয় পরে তখনই সেই টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। আমরা গাড়ি থেকে যে টাকাগুলো নিচ্ছি এটা সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র এর নির্দেশে নিচ্ছি। আপনি মেয়র এ-র সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ মাহবুবুল আলম বাচ্চুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পৌর এলাকার বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাঁদা নেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন শুধুলোড-আনলোডের টাকা নেয়া হয়। এছাড়া কোন গাড়ি থেকে কোন চাঁদা নেয়া হয় না। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সাঁথিয়া পৌরসভার মধ্যে বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাঁদা নেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান পৌরসভার টোকেনের টাকা তোলা হয়। এছাড়াও বিষয়টি কেও আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক নামধারী সংগঠন ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রভাবশালী নেতারা উন্নয়নের নামেও প্রতিদিন আদায় করছে মোটা অঙ্কের টাকা। সড়কে ব্যাপক চাঁদাবাজির বিষয়ে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন পরিবহণে চাঁদাবাজি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, যা কঠোর ভাবে দমন করা উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল।। এ চাঁদাবাজি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে জানান অনেকেই।