admin
- ১ ডিসেম্বর, ২০২২ / ১৩৩ Time View
Reading Time: < 1 minute
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি::
সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক ধারাসমূহ সংশোধনের দাবিতে খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বৃহস্পতিবার(০১ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজি মজিবুব রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে ৩০হাজার বাঙালি হত্যাকারী আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমার অপসারণ, পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রত্যাহারকৃত সকল নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প পুনঃস্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো. আলমগীর কবীর, কেন্দ্রীয় সদস্য রুহুল আমীন, খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি আব্দুল মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, খাগড়াছড়ি পৌর কমিটির সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বাবুল প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেন, পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছরে এসেও পাহাড়ে জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (এমএন লারমা), ইউপিডিএফ (প্রসীত), ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক), মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি) ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টসহ (কেএনএফ) একাধিক সশস্ত্র গ্রুপের জন্ম হয়েছে। অস্ত্রের মহড়া, মহা উৎসবে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, গুম, খুন ও অপহরণ চলছে। তাদের হাতে পাহাড়ি-বাঙালি সকলে জিম্মি। পার্বত্য চুক্তির শর্তানুযায়ী পাহাড় থেকে একটি ব্রিগেডসহ ২৩৮টি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে ৩০টি বিভাগ, রাঙামাটি জেলা পরিষদে ৩০টি বিভাগ ও বান্দরবান জেলা পরিষদে ২৮টি বিভাগ হস্তান্তর করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, পার্বত্য চুক্তি করার সময় বাঙালি জনগোষ্ঠীর জাতিসত্তাকে অস্বীকার করে তাদের অ-উপজাতী আখ্যা দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুবিধায় উপজাতীয়দের নানা অগ্রাধিকার শর্তযুক্ত করে বাঙালিদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে।
এছাড়াও রাষ্ট্রীয় নানা সুবিধা নিয়ে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো বাংলাদেশের চেতনা, সার্বভৌমত্ব,অখণ্ডতা ও উন্নয়ন বিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তারা দেশি-বিদেশি ইন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে।