রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
রংপুর জেলার কোতয়ালী সদর থানায় সেবা গ্রহিতার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। নারী, শিশু, বয়স্ক কিংবা প্রতিবন্ধিগন থানায় এসে এখন নির্ভয়ে ও নির্ভাবনায় মন খুলে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারছেন। সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়া হচ্ছে কিংবা দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে । গত ২২ অক্টোবর ২০২২ কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে সুশান্ত কুমার সরকার যোগদানের পর থেকে সবার জন্য দিন রাত ২৪ ঘন্টা সেবার দ্বার উম্মুক্ত রাখার ঘোষণা দেন। এতেই পাল্টে যায় থানার দৃশ্যপট। সম্প্রতি একটি অপহরণ ও ধর্ষণ অভিযোগ দেয়ার এক ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে আলোচনায় আসেন তিনি। বিভিন্ন মহল থেকে তাকে সাধুবাদ জানানো হয়। ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছোট থানা এলাকাটিতে কমে গেছে চুরি ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক সেবনের মতো ঘটনা। তিনি যোগদানের পর থেকে কমে গেছে মামলার পরিসংখ্যান। গত তিন মাসে মাত্র ৩০টি মামলা অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮টি মাদক মামলা রয়েছে। প্রায় শতাধিক ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামী গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, থানার নারী শিশু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি সার্ভিস ডেক্স দারুন সাড়া ফেলেছে। একজন নারী পুলিশ অফিসারের পরিচালনায় সার্ভিস ডেক্সে প্রতিদিন সেবা নিতে আসছে কেউ না কেউ। নারী, শিশু, বয়স্ক কিংবা প্রতিবন্ধিগন থানায় এসে এখন নির্ভয়ে ও নির্ভাবনায় মন খুলে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারছেন। সমস্যা শুনে সমাধান দেয়া হচ্ছে কিংবা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে দ্রæত। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে থানায় ডেকে এনে স্বামী-স্ত্রীর উভয় পক্ষের মধ্যে কাউন্সিলিং, পরামর্শ ও মোটিভেশন করা হয়। এতে বিচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে পরিবারগুলো। কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সুশান্ত কুমার সরকার এ ব্যাপারে বলেন, রংপুর জেলার পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী স্যারের নির্দেশনায় আমি, আমার অফিসার ও ফোর্সগনসহ কোতয়ালী থানার দরজা জনগণের জন্য খুলে দিয়েছি। যে কেউ যখন তখন এসে যেন সেবা পায় সেটি নিশ্চিত করেছি। আমি যে কোন সমস্যা সমাধানে সব সময় প্রস্তুত থাকি। সকল শ্রেনির জনগণ থানায় এসে এখন নির্ভয়ে ও নির্ভাবনায় মন খুলে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারছেন। এটি আনন্দের। এটি বাংলাদেশ পুলিশের প্রাপ্তি।