admin
- ২১ নভেম্বর, ২০২২ / ১০৯ Time View
Reading Time: 2 minutes
মাহফুজুর রহমান, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার চর থানাপাড়া এলাকার ভ্রাম্যমাণ ফ্রাষ্টফুড ব্যবসায়ী মৃত নশির আহাম্মেদের ছেলে মোঃ শাজাহানের মেঘনা ব্যাংকের কুষ্টিয়া শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নাম্বার ৪১০২১২৮০০০০০০৫২ থেকে অনলাইন প্রতারণা মাধ্যমে ১লক্ষ ৬৪হাজার ৯ টাকা তুলে নেয়ায় দিশেহারা ভুক্তভোগী দরিদ্র মোঃ শাজাহান। বর্তমানে শেষ সম্বল পুঁজি হারিে হতদরিদ্র পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এব্যপারে ভুক্তভোগী শাজাহানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি মেঘনা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব নাম্বার ৪১০২১২৮০০০০০০৫২ তে অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকে ২লক্ষ ৫হাজার ৯শত ৯০ টাকা জমা করি এর মধ্যে এ যাবতকাল আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ই অক্টোবর ২০২২ এ ৭হাজার ২৪অক্টোবর ২০২২ এ ১০হাজার এবং ৩০ অক্টোবর ২০২২ শে ২০হাজার সহ মোট ৩৭হাজার টাকা কুুষ্টিয়া শহরস্থ ওয়ান ব্যাংকের একতারা মোড়স্থ এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করি। আমি লেখাপড়ার না জানাই আমার ব্যাংকের হিসাব নাম্বার ও পিন নম্বর বুথের দারোয়ানকে জানাই এবং তার মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করি। কিন্তু ৩১শে অক্টোবর ২০২২ তারিখে মেঘনা ব্যাংক কুষ্টিয়া জেলা শাখায় আমার নিজ একাউন্ট থেকে পারিবারিক প্রয়োজনে ৬৫হাজার টাকা তুলতে গেলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয় আমার একাউন্টে মাত্র ৯শত ২৭ টাকা রয়েছে। তখন আমি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করলে তারা জানায় কে বা কারা আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বা কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে। তখন আমি বুঝতে পারি অনলাইন প্রতারণা মাধ্যমে আমার ১লক্ষ ৬৪ হাজার ৯টাকা কে বা কারা উত্তোলন করে। এমত অবস্থায় ৩১শে অক্টোবর ২০২২২ তারিখে কুষ্টিয়া মডেল থানা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করি বর্তমানে এই অভিযোগ কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ইউনিট তদন্ত করছে। ভুক্তভোগী শাহজাহান আরো জানান বর্তমানে অনলাইন প্রচারণার কারণে আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। আমি এই প্রতারণার সুষ্ঠ তদন্ত কামনা করছি এবং আমার কষ্টের উপার্জিত অর্থ ফেরত পাওয়ার পাশাপাশি দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবী করছি। এব্যাপারে মেঘনা ব্যাংক কুষ্টিয়া জেলা শাখায় যোগাযোগ করলে ব্যাংক থেকে জানানো হয় আমরা বিষয়টি শুনেছি কুষ্টিয়া আমাদের নিজস্ব কোন এটিএম বুথ না থাকায় ভুক্তভোগী শাজাহান ওয়ান ব্যাংকের এটিএম বুথের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে। সেখানে তিনি নিজস্ব একাউন্টের নম্বর এবং কার্ডের পিন নাম্বার জানানোর মাধ্যমে দারোয়ানকে দিয়ে অর্থ উত্তোলন করে আসছে। তাই এর মাধ্যমে কোন ধরনের প্রতারণা হতে পারে বলে মনে করেন তারা।