রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
একটি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ঘটনার পর রাজশাহীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নয়টি মামলা হয়েছে। রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের ওই বক্তব্যের জেরে সাত থানায় দায়ের করা নয় মামলা আসামী করা হয়েছে দুই শতাধিক। যাদের মধ্যে ৮৫ জন বিএনপির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৭ জনকে বলে দাবি করেছে বিএনপি নেতারা। এর মধ্যে পুঠিয়া থানায় প্রথম দায়ের করা মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এতে আবু সাঈদকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। এর পর আবু সাঈদকে একমাত্র আসামি করে মামলা করা হয় নগরের কাশিয়াডাঙ্গা ও জেলার মোহনপুর থানায়। জানা গেছে, নগরীর বোয়ালিয়া ও কাশিয়াডাঙ্গা থানায় দুটি করে; নগরের চন্দ্রিমা, রাজপাড়া, কর্ণহার এবং জেলার পুঠিয়া ও মোহনপুর থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৮৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। তিনটি মামলায় আসামি আবু সাঈদ চাঁদ। পুঠিয়া ও মোহনপুর থানার মামলাটির বাদী হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। বাকি মামলাগুলো পুলিশ বাদী হয়ে করেছে। গত শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে আবু সাঈদ বলেন, ‘আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যা যা করার দরকার, আমরা করব।’ এরপর একের পর এক মামলা হতে থাকে। মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম বলেন, নাশকতার ব্যাপারে পুলিশের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। তা ছাড়া আসামিরা বিভিন্ন জায়গায় একত্রিত হয়ে নাশকতার চেষ্টা করেছেন ও নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছেন। পুলিশের ওপরে হামলা ও সরকারি জানমাল ধ্বংসের চেষ্টা করেছেন- যা পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে মিলে গেছে। ঘটনার সময়গুলো কাছাকাছি হওয়ার কারণে মামলাগুলো পরপর হয়েছে।থানা পুলিশের একাধিক সূত্রে পাওয়া তথ্যের মতে, প্রথম মামলাটি করা হয় শুক্রবার রাতে নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায়। বিস্ফোরক আইনে থানার এসআই ইফতেখার মোহাম্মদ আল আমিনের করা মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ আজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় আটক করা ১১ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁদের মধ্যে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা রয়েছেন।