মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের জুম্মারপাড়ের সীমান্তের শূন্যরেখায় লাল পতাকা উড়িয়ে সংস্কারকাজ বন্ধ করে দিয়েছে বিএসএফ।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে প্রায় ৩০০ মিটার সড়ক সম্প্রসারণ ও সংস্কারকাজ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আপত্তিতে বন্ধ রয়েছে। শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর কাছে আছিয়ার বাজার থেকে নাগেশ্বরী উপজেলার কলেজ মোড় পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করার বিষয়ে দফায় দফায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এ ছাড়া ৯ দিন ধরে ওই সীমান্তের শূন্যরেখায় লাল পতাকা উড়িয়ে ২৪ ঘণ্টা টহল অব্যাহত রেখেছে বিএসএফ।বিজিবি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিএসএফের আপত্তির বিষয়টি স্বাভাবিক। বিষয়টি সমাধানে দুই পক্ষের আলোচনা চলমান রয়েছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) অর্থায়নে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আছিয়ার বাজার থেকে নাগেশ্বরী উপজেলার কলেজ মোড় পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণ ও পাকাকরণের কাজ শুরু করে ওটিবিএল নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ফুলবাড়ীর শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের নন্দিরকুটি জুম্মারপাড়ের সীমান্তে সড়কটি শূন্যরেখার কাছে হওয়ায় প্রায় ৩০০ মিটার সড়ক সংস্কারসহ ৭৩ মিটার গাইডওয়াল নির্মাণকাজে আপত্তি জানান বিএসএফের কুর্শারহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।
এ নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের বৈঠক হয়। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ ও গাইডওয়াল নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে আশ্বাস দেয় বিজিবি। কিন্তু এরপরও সীমান্তে লাল পতাকা টাঙিয়ে জিরো লাইনে বাঁশের চৌকি তৈরি করে অবস্থান নেয় বিএসএফ। তারা সীমান্তের ওই অংশে টহল বৃদ্ধি করে। বাংলাদেশ অংশে বিজিবিও লাল পতাকা লাগিয়ে টহল জোরদার করেছে।
জুম্মারপাড় সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা জিয়াউর রহমান ও জহিরণ বেওয়া জানান, বিএসএফ যেভাবে লাল পতাকা টানিয়ে ২৪ ঘণ্টা টহল অব্যাহত রেখেছে, তা দেখে এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটির কিছু অংশ জিরো পয়েন্টে পড়ায় ওই অংশে নির্মাণকাজে বিএসএফ আপত্তি জানিয়েছে। পরে আমরা বিষয়টি বিজিবি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিজিবি ক্লিয়ারেন্স দিলে বাকি কাজ শেষ করা হবে।’
বিজিবি ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম তৌহিদুল আলম বলেন, ‘১৫০ গজের মধ্যে কোনো দেশই স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে না। সড়কটির কিছু অংশ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৫০ গজের মধ্যে পড়ায় বিএসএফ আপত্তি জানিয়েছে।’