মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ হেলাল উদ্দিন সরকার, ধুনট বগুড়া:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরকারি রাস্তাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা এক ভাইয়ের জমি দখল করে পুকুর খননের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) সন্জয় কুমার মহন্ত, কামরুজ্জামান রন্জু নামে নাটাবাড়ি গ্রামের একজনকে নগদ একলক্ষ টাকা জরিমানা করেন। ইতিপুর্বে গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের নাটাবাড়ি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান মুন্টু, জহুরুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, মোস্তাফিজার রহমান ও ফরিদ উদ্দিন সহ ৭৫ জন গ্রামবাসী সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, ধুনট উপজেলার নাটাবাড়ী গ্রামের মৃত মোবারক আলী মন্ডলের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামানের ২৯ শতক ক্রয়কৃত জমির সঙ্গেই একদাগে আরো ৫ ভাইয়ের মোট ১১ বিঘা ফসলী জমি রয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান মুন্টুর ভাই হিটনারুজ্জামান হাকিম, হোসেন সহিদ, কামরুজ্জামান রঞ্জু ও বদিউজ্জামান তার ২৯ শতক জমি দখল করে মোট ১১ বিঘা ফসলী জমিতে পুকুর খনন করে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন। তবে তারা শুধু ফসলী জমি কেটেই পুকুর খনন করছেন না, এমনকি সরকারি রাস্তা কেটেও পকুর খনন করে মাটি বিক্রি করছেন। এদিকে সরকারি রাস্তা সহ পুকুর খনন করায় ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী। বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী সরকারি রাস্তা কেটে পুকুর খনন করার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে তারা বিক্ষোভ করেন। তারা এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন। নাটাবাড়ী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান মুন্টু বলেন, আমার ভাইয়েরা জোরপূর্বক জমি দখল করে পুকুর খনন করছেন। তাই এবিষয়ে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এবিষয়ে গ্রামবাসী মোস্তাফিজার রাহমান বলেন, গোাসাইবাড়ী ইউনিয়নের বাকশাপাড়া ও হনিরাথপুর পাকা রাস্তা থেকে নাটাবাড়ী যাওয়ার একমাত্র এই রাস্তাটি সহ ফসলী জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করায় চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একারনে বাকশাপাড়া, হরিনাথপুর ও নাটাবাড়ি সহ আরো কয়েকটি গ্রামের হাজারো লোকজনকে প্রতিদিন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে এব্যাপারে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান রঞ্জু দাবি করে বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই নাকি তিনি সরকারি রাস্তা সহ ফসলী জমিতে পুকুর খনন করছেন। এছাড়াও তিনি তার ভাইয়ের জমি দখল করেননি বলেও দাবি করেন। তবে এ ব্যাপারে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, সরকারি রাস্তা সহ ফসলী জমিতে পুকুর খননের কোন নিয়ম নেই। তাই গ্রামবাসীর অভিযোগটি তদন্ত করতে সরজমিন খোঁজখবর নিতে যেয়ে এর সত্যতা মেলে। তিনি আরোও জানান প্রশাসনের অনুমতির কথা কামরুজ্জামান রন্জু যা বলেছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট এবং সেটা সবার সামনেই প্রমান করে দেওয়া হয়েছে ও তার নগদ একলক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিক প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করা ও আইনের শাসন প্রয়োগ করাতে নাটাবাড়ি গ্রামের সকলের মনে স্বস্তি ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ফিরে এসেছে সেই সাথে ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান সকলেই।