শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজশাহী :
রাজশাহী মহানগরীতে কোন উস্কানী ছাড়াই পাশের বাড়ির সিমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছে মোঃ বেনজির (৫০) নামের এক ব্যক্তি।
রবিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানাধিন দড়িখরবোনা ৫৪ নং (আম বাগান) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যপারে রাবিবার দুপুর ২টার দিকে ভ‚ক্তভোগী রোমানা ইসলাম অভিযুক্ত মোঃ বেনজিরের ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করতে যান। বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মোঃ মাজহারুল ইসলাম ভূক্তভোগীর বক্তব্য শুনে অভিযোগ গ্রহণ করেন নি। তবে তিনি আগামী ২ জানুয়ারী ২০২৩ সালে সকাল ১১টায় সরেজমিন যাবেন এবং উভয় পক্ষের আপডেট কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে, প্রাচির ভাঙ্গার দৃশ্যটি মোবাইলে ভিডিও ধারন করে ফেসবুকে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) আপলোড করেছেন স্থানীয়রা। ভিডিওটি ব্যপক ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে হাতুড়ি দ্বারা বেনজীর, জিম, সংগ্রাম, ট্রমি, স্মৃতী সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন রোমানা ইসলামের বাড়ির প্রচির ভাংছেন
ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক, ও নারী পূরুষ হাম্বুর ও শাপল দিয়ে একটি বাড়ির বিভিন্ন স্থাপনা ভাংছেন। তারা কারো নিষেধ শুনছেন না। এক পর্যায়ে প্রতিবেশিরা এগিয়ে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারমূখি আচারণ ও হাতাহাতির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ঠিক সেই সময় উপরশহর ফাঁড়ির এসআই আরিফ উপস্থিত হন এবং উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। এসআই উভয় পক্ষকে থানায় যেতে পরামর্শ দেন।
প্রাচীর ভাঙ্গার বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে বেনজির বলেন, আমার জায়গায় প্রাচীর নির্মান করেছে। তাই আমি ভেঙ্গে ফেলেছি।
এ নিয়ে এলাকায় ব্যপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সেই সাথে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সংশ্লিষ্ট থানার ওসির উপর হতাশা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীর ভাই সাংবাদিক বাবুল।
তিনি জানান, বিনা উস্কনী বা কোন প্রকার দ্বন্দ ছাড়াই একজন ব্যক্তি দলবল নিয়ে আমার বাড়ির সিমানা প্রাচির ভাংলো। আর সংশ্লিষ্ট থানার ওসি অভিযোগ নিলেন না। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন না। এটা কি ভাবে সম্ভব?
অভিযোগ রয়েছে, বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মোঃ মাজহারুলের বিরুদ্ধে। সরকারী ফোনে ফোন দিলে, তিনি তার পছন্দের লোকজন ছাড়া অন্য কোন সাংবাদিকের ফোন রিসিভ করেন না। অথচো বোয়ালিয়া বিভাগের উর্দ্ধতন সকল কর্মকর্তাবৃন্দ সাংবাদিকের ফোন এড়িয়ে যান না।
ওসি দাম্ভিকতা প্রকাশ করে বলেন, মূল ধারার সাংবাদিক ছাড়া গুনার টাইম নাই। সম্প্রতী তিনি রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সংবাদিক মোঃ সাইদুর রহমানকে একাধিকবার অপমান করেছেন। কোন প্রয়োজনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন না।
এ বিষয়ে আরএমপি পুলিশের পুলিশ কমিশনারের কাছে তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সাইদুর রহমান একাধিক বার অভিযোগ করেছেন। তারপরেও তিনি তার অবস্থানে অনড় রয়েছেন। ভাংচুরের বিষয়ে নগর পুলিশের মূখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(মিডিয়া) মোঃ রফিকুল আলম বলেন, বিষটি আমার জানা নেই। ভিডিওটা হোয়াস্এ্যপে দেন।