শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
সারাদেশে দিন দিন হাতুড়ি ডাক্তারের সংখ্যা বেরেয় চলছে। তাদের নেই কোন বৈধ সনদ। ছয় মাস বা এক বছর ঔষধের দোকানে চাকরি করে , কোন পল্লী চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করে বা সপ্তাহে একটি ক্লাস করে ছয় মাস পর যে কোন সনদ নিয়েই বনে যাচ্ছেন ডাক্তার। পরিচয় বা পদবিতে লিখেন ডাক্তার অমুক, ডাক্তার তমুক।
এইবার তারা চোষে (রুগি দেখে) বেরান গোটা এলাকায়। প্রাথমিক এর পাশাপাশি যে সকল রুগীদের চিকিৎসা দিতে বড় বড় ডাক্তার রাও ভাবনায় পরে যান, সে সকল জটিল ও কঠিন রোগের ও চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা। মাঝে মধ্যেই শুনাযায় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রুগীর মৃত্যু। দুই এক জন ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করলেও অধিকাংশ পরিবার চেপে যায় বা আড়াল করে নেই ঘটনাটি। এক কথায় ঝামেলায় জোড়াতে চান না তারা।
এমনি এক ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর মিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাবদার আলীর ছেলে সুলতান মিয়ার(৬৮) সাথে। তিনি বিগত আনুমানিক ৮-১০ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন, আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের ও হাই প্রেসারের সমস্যা ছিল তার। চন্ডিপুর বাজারের পল্লী চিকিৎসক সোহেল রানা (২৫) এর কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জ্বর একটু কমলেও ঘটনার আগের দিন শনিবার থেকে বেড়েছিল কাশি ও শ্বাসকষ্ট। রবিবার (২০শে জুন)সন্ধায় ৭ টা ২০ মিনিটে পল্লী চিকিৎসক সোহেল একটি ইঞ্জেকশন করলে ১০ মিনিটের মধ্যে রুগীর মৃত্যু হয় বলে জানাযায় । ইঞ্জেকশন করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত রুগীর প্রেসার সাভাবিক ছিলো বলেও জানাযায় পারিবারিক সুত্রে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশি পল্লী চিকিৎসক জানান, চিকিৎসক সোহেল এ সময় ডেক্সামেথাসন ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন রুগীকে ।হাই প্রেসারের রুগীর প্রেসার নেমে গেলে তাকে ইনহেলার বা বিকল্প ঔষধ দেওয়া উচিৎ। এই ইঞ্জেকশন টা রুগী টানতে পারেনি, তাকে এটা দেওয়া উচিৎ হয়নি বলে মনে করেন তিনি। সেই সাথে মৃত সুলতান মিয়ার প্রতিবেশীদের ধারণা পল্লী চিকিৎসক সোহেল রানার দেওয়া ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে তার।
চন্ডিপুর খুদি ছয় ঘটি গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সোহেল রানার থেকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বলেন, যার কাছ থেকে শুনেছেন তার কাছে জান। পল্লী চিকিৎসার বৈধ সনদ আছে কিনা প্রশ্নের উত্তরে তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল এ গিয়ে দেখতে বলেন। সেই সাথে তিনি উল্টো প্রশ্ন ছুরে বলেন কে আপনি আপনাকে বলবো কেন? যা পারেন করেনিন বলে ফোন কেটে দেয়।
এই নিউজটি লিখা পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবার থেকে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।