বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় বাবা-ছেলে আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনীর ৩নং গলিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতরা হলেন: মহানগরীর চন্দ্রিমা আবাসিক ছোট বনগ্রাম এলাকার সাহাদাত প্রামানিকের ছেলে মোঃ মফিদুল (৫৫) ও তার ছেলে জুয়েল (২২)। আহত মফিদুল পেশায় একজন দিনমুজুর ও নৈশ প্রহরী এবং তার ছেলে জুয়েল পেশায় অটো চালক। আহত মফিদুল জানায়, শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে আমার ভাতিজা সেলিম (১৭) স্মার্ট ফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু এক সাথে এত টাকা দেয়ার মতো সামর্থ নাই। তাই ভাতিজাকে টাকা দিতে পারবেনা বলে জানায়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সে তার কিশোর গ্যাংয়ের সাঙ্গী জনৈক চঞ্চল (১৭), নিলয় (১৭), আপন (১৬)সহ আরও অজ্ঞাত ৭/৮ দলবদ্ধ হয়ে আমার ও আমার ছেলের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা রড, হাসুয়া দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং আমাকে ও আমার ছেলেকে মাথায় হাসুয়ার কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের বাপ ছেলেকে উদ্ধার করে রামেকের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদের ৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। কিন্তুআমি একটি বিল্ডিং-এ নাইট গার্ডের চাকরি করি। চাকরি হারানোর ভয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে বাড়ি ফিরে আসি। এ ব্যপারে জানতে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমরান আলীকে মুঠো ফোনে ফোন দেয়া হয়। তিনি জানান, কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় বাবা- ছেলে আহতের ঘটনা আমার জানা নেই। তবে ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ/ মামলা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।