শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মুক্তাগাছা প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার দাঁওগাও ইউনিয়নে অবৈধভাবে খালের পাড় থেকে মাটি কাটার অভিযোগে একজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়নের মৃতঃ সেকান্দর আলীর পুত্র সেলিম মিয়াকে এই দন্ড প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা । সঙ্গে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি ভেকুটিকে জব্দ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান প্রভাবশালীরা খালের পাড়ের মাটি সরিয়ে ইট ভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করায় হুমকির মুখে পড়েছে শত শত বিঘা কৃষকের ফসলি জমি। মাটি কাটার ওপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে ও চুপিসারে মাটি কাটছে কিছু ভূমিদস্যুরা। ভুক্তভোগী কৃষকরা বিভিন্ন সময় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে মুক্তাগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, মুক্তাগাছার দাওগাঁও ইউনিয়নের সেকান্দর আলীর পুত্র সেলিম অবৈধভাবে খালের পাড় থেকে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছেন।
তিনি আরও জানান উপজেলার দাঁওগাও ইউনিয়নে খালিয়া বিলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি সরকারি ভাবে খনন করা হয়েছিল এবং খালের দুপাশে মাটি ফেলে খালটিকে শক্ত অবস্থান দেয়া হয়। কিন্তু কিছু অবৈধ দখলদার ও পেশাদার আইন অমান্যকারীরা বিপননের উদ্দেশ্য তলদেশের এ মাটি রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে কেটে ৫/৬ টি ট্রাকে করে তা ইটের ভাটাসহ অন্যান্য স্থানে বিক্রি করে আসছিলো। বিশাল আয়তনের এ মাটি বিক্রয় করেন তারা, যার আনুমানিক মূল্য হবে ১৫-২০ লাখ টাকা।
এই খালটি উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। অসাধু ব্যাবসায়ীরা খালে বাঁধ দেয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় ১ জন আসামী উপস্থিত ছিলেন এবং ১ টি মাটি কাটার ভ্যাকু জব্দ করা হয়। আসামী স্বীকার করেন যে এখান থেকে তারা বিপুল পরিমান মাটি সরিয়ে ইটের ভাটায় দিয়েছেন। তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেন। আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও স্বাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামীকে বালুমহাল ও মাটি ব্যাবস্থাপনা আইনের০৪ ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে একই আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। জেল পরোয়ানা মূলে আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করার আদেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতকে সহায়তা করেন মুক্তাগাছা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সহ সংস্লিষ্টরা।