admin
- ৩ মে, ২০২৩ / ১০৪ Time View
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, বেনাপোল যশোর:
যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অহেতুক অসদাচরণ, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, পাওনা টাকা সময়মত না দেয়াসহ দূর্ণীতি স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্নভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ১৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত তিন সপ্তাহ আগে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এ অভিযোগ দায়ের করে তার অনুলিপি জেলা সিভিল সার্জন সহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠান। লিখিত অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ দ্রুত সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান অভিযোগ কারীরা। উপজেলা হাসপাতালের ১৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষরিত অভিযোগ গত ১১ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জমা দেয়ার পর নড়েচড়ে বসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল যশোর সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক তদন্তের কাজ শেষ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন অভিযোগকারীদের। এরই পরিপেক্ষিতে গতকাল ৩ মে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (প্রশাসন) ডাক্তার মঞ্জুরুল মোর্শেদসহ তদন্ত টিম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে অভিযোগকারীদের কাছ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে লিখিত জবানবনন্দি নিয়েছেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ সালে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করি। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনেক উন্নয়ন করেছি। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছোট -খাটো কোন অপরাধ করলে একটু বকা-ঝকা করেছি, এর বেশী কিছু নয়। তাদের ন্যায্য পাওনা কড়ি দিতে হয়ত একটু দেরী হয়েছে তাই বলে তারা সবাই মিলে সিন্ডিকেট করে আমার বিরুদ্ধে এমন একটা অপমানজনক কাজ করবে তা আমি বুঝতে পারিনি। অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে সঠিক হিসাব না দেখাতে পারলেও অর্থ আত্মসাতের বিষয়টা সঠিক নয় বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় সহকারি পরিচালক ( প্রশাসন) ও তদন্ত টিমের সভাপতি ডাক্তার আক্তারুজ্জামান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে কর্মকর্তা- কর্মচারিরা স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের বরাবর যে লিখিত অভিযোগ করেছেন তার সরেজমিনে তদন্ত করতে এসেছি। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে কোন কিছু বলা যাবে না। খুব শিঘ্রয় উভয় পক্ষের অভিযোগ ও মতামতের ভিত্তিতে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত দাখিল করা হবে । এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক (কমিউনিটি ক্লিনিক ) ডাক্তার ফেরদাউস আক্তার, সহকারি পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রক) ডাক্তার অপর্ণা বিশ্বাস প্রমুখ।