শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৪ অপরাহ্ন

News Headline :
ডিমের মূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা বড় সমস্যা- মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ এর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪ উদযাপনের আজদ্বিতীয় দিন ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে লালন মেলা হতে চুরি হওয়া ১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার ন্যায় বিচার পেলে আওয়ামী লীগের জীবনের স্বাদ মিটে যাবে-নওগাঁ জামায়াত আমির রাবি’তে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে বিএনপি‘র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২ পাবনার ঈশ্বরদীতে সন্ত্রাসীদের গুলি ল্যাংড়া বিপু গুলিবিদ্ধ পাবনায় স্বপনের অফিস ভাংচুর করলেন শিমুল সমর্থক হামলা-পাল্টা হামলা পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার

রংপুরের ঘাঘট নদীতে বোমাসদৃশ ‘গ্রেনেড’ উদ্ধার

Reading Time: 2 minutes

হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
রংপুর নগরীর তামপাট এলাকার দমদমা ব্রীজের নিচে ঘাঘট নদীতে থেকে একটি গ্রেনেড বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার হয়েছে। তবে এটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বয়স্ক ব্যক্তিরা। তাদের দাবি এটি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের হতে পারে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার নগরীর দমদমা ব্রিজের নিচ থেকে গ্রেনেড বোমাসদৃশ বস্তুটি উদ্ধার হলেও গতকাল রোববার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ওই বোমাসদৃশ বস্তুটি সেখানকার রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এর আগে ঘাঘট নদী সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী তালুক তামপাট মগলেরবাগ এলাকার ভাতের হোটেল ব্যবসায়ী তহমিনা বেগম (৮৫) গ্রেনেড বোমাসদৃশ্য এই বস্তুটি ঘাঘট নদীতে পেয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এব্যাপারে তহমিনা বেগম বলেন, শুক্রবার দুপুরে গোসল করতে ঘাঘট নদীতে নামলে পায়ের নিচে কিছু একটা অনুভব হয়। এরপর তুলে লোহার বস্তু মনে করে সেটি ভালো করে পরিষ্কার করি। পরে বাজারের একটি দোকানে পরিমাপ যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আমার হাতে থাকা বস্তুটি গরম হতে থাকলে আশপাশের লোকজন বলছিল এটি গ্রেনেড। তিনি আরও বলেন, আমি আনসার বাহিনীর ট্রেনিংয়ের সময়ে এমন গ্রেনেড বোমা দেখেছিলাম, তাই এটিকে পরবর্তীতে পানিতে রেখে দিই। এরপর ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ এসে সেদিন থেকে পাহারা দিচ্ছে। বৃদ্ধা তাহমিনার মেয়ে শিউলি বেগম বলেন, আমরা তো জানি না এটা কী জিনিস্ত যখন মানুষ বলল যে এটা বোমা, তখন আমরা সরকারি নম্বরে কল করে ঘটনাটা জানিয়েছি। পুলিশ এসেছে কিন্তু এখনো এটা না নিয়ে যাওয়ায় আমরা শঙ্কিত। শুনেছি এই বোমা বিস্ফোরণ হলে নাকি অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। স্থানীয় আসা ধর্মদাস বারো আউলিয়ার বাসিন্দা তসলিম উদ্দিন বলেন, এখানে তো মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা বৃষ্টির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। দমদমা ব্রিজটাও ভেঙে দিয়েছিল। আজ লোহার মতো যে বস্তুটা দেখছি এটা যুদ্ধের সময়ের গ্রেনেড হতে পারে। বিষয়টি নিশ্চিত করে তাজহাট মেট্রোপলিন থানার ওসি একেএম নাজমুল কাদের বলেছেন, খবর পেয়ে আমরা বস্তুটি দেখেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে বর্ণনা শুনে বোমাসদৃশ্য বস্তু সন্দেহ করছি। তবে আমরা নিজেরাও এখনো নিশ্চিত নই। সেনাবাহিনীর বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দিয়েছি, তারা এলে বিষয়টি জানা যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com