বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২২ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুরঃ
রংপুর মেট্রোপলিটনের হারাগাছ থানা এলাকায় এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে অভিযুক্ত ৩ জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এর আগে রোববার রাতে রংপুর মেট্রোপলিটনের হারাগাছ থানার কাছনা সোনালী গ্রাম থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃরা হলেন- ধর্ষণে অভিযুক্ত রংপুর সিটি করপোরেশনের কাছনা তুকিটারী গ্রামের মহুবর রহমানের ছেলে এরশাদ আলী (৪০), কাছনা সোনালীপাড়া গ্রামের মোহন চন্দ্রের ছেলে গনেশ রায় (৩৫) ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণকারী কাছনা সোনালীপাড়া গ্রামের ইউনুস আলী ছেলে রতন মিয়া (২৭)।পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, সোমবার রংপুর মেট্রোপলিটনের হারাগাছ থানাধীন কাছনা সোনালীপাড়া গ্রামে রাত ১০টার দিকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে রান্না ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক এরশাদ আলী ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। পরে ওই গৃহবধূকে শয়ন ঘরে নিয়ে যায় এরশাদ আলী। এ সময় গনেশ রায় ও রতন মিয়া ঘরে প্রবেশ করে গৃহবঁধুর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই রাতে এরশাদ আলী ও রতন মিয়াকে ঘরে ভিতরে দাড়িয়ে রেখে শ্রী গনেশ রায় ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। গৃহবঁধ চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার সহ এরশাদ আলী ও শ্রী গনেশ রায় এবং রতন মিয়াকে আটক করে। পরে খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এরশাদ আলী ও শ্রী গনেশ রায় এবং রতন মিয়াকে হেফাজতে নিয়ে থানা নিয়ে আসে। রংপুর মেট্টোপলিটন হারাগাছ থানার উপ-পরিদর্শক কমল মহন্ত বলেন, গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আটক তিনজনকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন) সুব্রত ব্যানার্জি জানান, এ ঘটনায় আটক তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্ণগ্রাফি আইনের ধারায় মামলা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গৃহবধূকে রংপুর মেডিকেল কলেজের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।