বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
রংপুর নগরীসহ জেলার বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে সেঞ্চুরি হয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে বেশকিছু সবজির দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন নি¤œ ও মধ্যবিত্তরা। তারা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এজন্য দ্রুত বাজার মনিটরিং করার দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে নগরীর সিটি বাজার, আশরতপুর চকবাজার, মর্ডাণ মোড়, মাহিগঞ্জ, কামাল কাছনা, ধাপ সিটি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে এখন কাঁচা মরিচের দাম সেঞ্চুরি হয়েছে। এছাড়াও প্রতি কেজি টমেটো ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, গাজর আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা, চিকন বেগুন ৫-১০ টাকা বেড়ে ২০-২৫ টাকা, গোল বেগুন ৫-১০ টাকা বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১২-১৫ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতোই ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউয়ের দাম দিগুণ বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, ধনেপাতার দাম ২০-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, শিম ১৫-২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০-৩৫ টাকা, মুলা আগের মতোই ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা পিস এবং ফুলকপি ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া আগের মতোই আদা ১১০-১২০ টাকা ও রসুন ৮০-৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব ধরনের শাকের আঁটি পাওয়া যাচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। এছাড়া বাজারে নতুন আসা মিষ্টি আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা এবং মটরশুঁটি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা।খুচরা বাজারে নতুন কার্ডিনাল আলু ২৫-৩০ টাকা, শিল ও ঝাউ আলুর ৪০-৪৫ টাকা এবং গ্রানুলা (সাদা) আলু ২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এ সপ্তাহে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নগরীর তামপাট এলাকার সবজি বিক্রেতা আশরাফুল আলম ও নুর ইসলাম বলেন, এ সপ্তাহে শীতকালীন সবজির আমদানি কমায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে কাঁচামরিচের আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে।সিটি বাজারের ব্যবসায়ী লিটন মিয়া বলেন, শীত ও কুয়াশার কারণে সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের দাম বেড়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের কি করার আছে? কামাল কাছনা এলাকার সালেকুজ্জামান ও মুলাটোল এলাকার মনিরুল মিন্টু বলেন, শুধু শাক-সবজি নয়, সব জিনিসপত্রের দাম যেহারে বাড়ছে তাতে জীবন যাপন করা মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত দাম বাড়াচ্ছে। এজন্য বাজার মনিটরিং বাড়ানো দরকার।