শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন

News Headline :
মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ভ্যান চালকের মৃত্যু রাজশাহীর মোহনপুরে মদ পানে ৩ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার ২ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাতটি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা যানজট নিরসন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরএমপি’র মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে এবার কৃষকরা আমন ধানের আশানুরুপ ফলন পেয়েছে পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ১জন আহত শাজাহানপুরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মান্দায় বিল উন্মুক্তের দাবিতে জেলেদের সংবাদ সম্মেলন সভাপতির স্বৈরাচারী আচরন স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে পাবনা শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির

রংপুরে কাগজে-কলমে মশক নিধন অভিযান, সুবিধার বাহিরে বর্ধিত ওয়ার্ডগুলো: অতিষ্ঠ নগরবাসী

Reading Time: 2 minutes

হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর:
রংপুর মহানগরীতে বড়েছে মশার উপদ্রব। বাসা-বাড়ি-অফিস ছাড়াও সবখানেই মশার উৎপাত দেখা দিয়েছে। এর ফলে মশার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বাসিন্দারা। প্রায় ১০ লাখের বেশী জনসংখ্যার রংপুর নগরীতে কাগুজে কলমে চলছে মশক নিধনের অভিযান। যাও আবার বিলুপ্ত পৌরসভার পুরাতন ১৫টি ওয়ার্ডে। আর মশক নিধন সুবিধার আওতার বাহিরে রয়েছে নতুন বর্ধিত ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দরা। এর ফলে নগরী জুড়ে মশক নিধন অভিযান নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাড়ছে ক্ষোভ। তবে সচেতন নগরবাসী, দ্রুত সময়ের মধ্যে মশক নিধন অভিযান আরও জোরদার করতে দাবি জানিয়েছেন।
সূত্রে জানাগেছে, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত রংপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে কাগজে- কলমে মশক নিধনের চলে পুরাতন ১৫টি ওয়ার্ডে। নতুন সংযোজিত ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দরা মশক নিখন সুবিধার আওতার বাইরে রয়েছেন। শুধু মশক নিধন নয় বর্ধিত এলাকার বাসিন্দার সকল নাগরিক সেবা থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। এখনও অনেক রাস্তা-ঘাট কাঁচা রয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও গড়ে উঠেনি।
তবে সিটি কর্পোরেশন বলছে, প্রায় ১০ লাখ জনসংখ্যাকে মশার হাত থেকে বাঁচাতে সিটি করপোরেশনের রয়েছে মশা মারার ফগার মেশিন ৯টি। এর মধ্যে খারাপ হয়েছে ২টি। সেগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে। তাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
নগরীর কামাল কাছনা এলাকার রুহিত ইসলাম ও মন্ডলপাড়ার ইমরান হোসেন মিন্টু বলেন, দিনে কি রাতে মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ। যেখানেই যাই শুধু মশার কামড় খাই। সিটি কর্পোরেশন যে কি করছে বুঝি না। সেনপাড়ার লাবু হোসেন, কামারপাড়ার গৃহবধু কহিনুর বেগম ও কেরানীাড়ার শহিদুল হকসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন জানান, সিটির লোকজন মাঝে মাঝে এসে শুধু ধুমা দিয়ে যায়। যাতে কোন কাজই হয়না। মশার উৎপাতও কমে না। কোথাও বসে থাকা,ঘুম কি বা আড্ডা কোথাও মশার কারণে শান্তি নেই। সবখানেই মশা আর মশা। এতে অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। তাই মশার নিধন জরুরী হয়ে পড়েছে। সচেতন নগরবাসীরা বলছেন, নগরীর প্রাণ কেন্দ্রের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্যাম সুন্দরি খাল পয়নিষ্কাষনের জন্য ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার না করায় রংপুর মহানগরী এখন মশা উৎপাদনের কারখায় পরিনত হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ দখলদারের উচ্ছেদ অভিযান না করায় নাব্যতা হারিয়ে দিনদিন সংকীণ হয়ে পড়েছে খালটি। এর ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই গোটা নগরীতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ জনগণকে। অন্যদিকে সিটি কর্পোরেশন থেকে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম চালু করার ঘোষণা দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয় হাতে গোনা কয়েকটি ওয়ার্ডে। এর ফলে বঞ্চিত থাকে বেশীর ভাগ ওয়ার্ড। এর ফলে বর্তমান নগরবাসির নানাবিধ সমস্যার মধ্যে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মশা। এনিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এজন্য তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ দখলদারের উচ্ছেদ অভিযান করে খাল সংস্কারের দাবির পাশাপাশি মশক নিধন অভিযান কার্যক্রম আরোও জোরদার করার আহব্বান জানান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময়ে নগরবাসির আশির্বাদ বলে পরিচিত শ্যামা সুন্দরি এখন অনেকটা অভিশাপ হিসেবে নগরবাসির কাছে পরিচিত। পরিস্কার না করা, অবৈধ দখলদারসহ নানা কারণে শ্যামাসুন্দরি এখন মশা উৎপাদনের কারাখানায় পরিনত হয়েছে। রংপুর নগরীর জলাবদ্ধতা দূর এবং ম্যালেরিয়ার হাত থেকে নগরবাসিকে মুক্ত রাখতে তৎকালীন রংপুর পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ও ডিমলার রাজা জানকী বল্লভ সেন ১৮৯০ সালে তার মা চৌধুরানী শ্যামা সুন্দরী দেবীর নামে ক্যানেলটি পুনঃ খনন করেন। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্যামা সুন্দরী খালের সম্মুখে নগরীর কেলাবন্দের ঘাঘট নদী। এর দুই ধারে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে খালটি।
এব্যাপারে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মিজানুর রহমান মিজু বলেন, মশক নিধনের অভিযান চলমান রয়েছে। আর শ্যামাসুন্দরি খালের পরিচ্ছন্ন অভিযানও চলছে।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা.শামীম আহমেদ জানান, রংপুরে এডিস মশার সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় পর্যায়ে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এমন খবর পাওয়া যায়নি। তার পরেও ডেঙ্গু রোগী পরীক্ষার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। তার পরেও সাবধনতা অবলম্বনের জন্য সরকারি ভাবে সন্দেহভাজন রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com