সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর:
রংপুরে শারদীয় দুর্গোৎসবের দশমীতে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে দূর্গা মাকে বিদায় দিয়েছে ভক্তরা। দুর্গার বিদায়ের আগমুহূর্তে পূজাম-পগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা। দেবীকে এ বছরের মতো বিদায় দিতে চন্দন, ধুপ আর সিঁদুর দেবীর পায়ে নিবেদন করলেন ভক্তরা। ঢাক আর উলুধ্বনিতে মুখরিত ছিল রংপুর নগরীসহ জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন দূর্গা ম-পগুলো। সুন্দর ও মঙ্গলময় আগামীর প্রত্যাশায় সিঁদুরময় এই আনন্দ উচ্ছ্বাসে শুধু নারীরাই নয়, পূজাম-পগুলোতে ছিল তরুণ-তরুণীদেরও উপচে পড়া ভিড়। গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রংপুর নগরীর ধর্মসভা, পালপাড়া, গুপ্তপাড়া, নিউ আদর্শপাড়া, মুলাটোল, করুণাময়ী কালীবাড়ি, আনন্দময়ী সেবাশ্রম, জুম্মাপাড়া, স্টেশন রোড আলমনগর, তাজহাট, রঘু বাজার, মর্ডাণ মোড় ও মাহিগঞ্জসহ জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন পূজাম-পে সিঁদুর উৎসব দেখা যায়। বিদায়ক্ষণে দেবীর আরাধনা শেষে সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে আনুষ্ঠানিকতা।
রংপুরের ঐতিহ্যবাহী কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবন প্রসাদ বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবার দুর্গোৎসব হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল পূজাম-প। দশমীর দিনে সিঁদুরের ছোঁয়ায় এই উৎসব আরও পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আমরা ভীষণ আনন্দিত। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রংপুর জেলা সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক জানান, বিজয়া দশমীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অন্যরকম আবেগ ও মন খারাপ করা এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। কারণ দশমী মানেই দুর্গা মায়ের ফিরে যাওয়া। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর। তবে বিসর্জনের আগমুহূর্তে সিঁদুর খেলায় রঙিন দিনের প্রত্যাশায় সবার মিলিত হওয়াটাও ভীষণ আনন্দের। এদিকে এ বছর রংপুর মহানগরীর ১৫৮টি ও জেলার আট উপজেলায় ৯৩৫টি ম-পে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর একযোগে সব পূজাম-পগুলো থেকে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসবের দশমীতে বিসর্জন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা ছিল সতর্ক অবস্থানে। নগরীসহ জেলাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল। কোথাও কোন অপ্রীতির ঘটনা ঘটেনি।