শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার পিলখানা হত্যাকান্ড দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দিয়েছে-রাকিন আহমেদ পাঁচবিবিতে বিএনপির দুই গ্রুপের প্রতিবাদ সমাবেশ ঘিরে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি শেরপুর জেলা আ’ লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন কুমার পাল আটক পাবনায় মানবকল্যাণ ট্রাস্টের ৪ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজশাহী মহানগরীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ মাদক কারবারী গ্রেফতার পুনাক ও রাজশাহীর ক্ষদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন পাবনায় সাদ্দামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ছুরিকাঘাতে ৩জন আহত একজনের অবস্থা আশংকাজনক সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই আটক দুই কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ চলছে ভোট নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ

Reading Time: 6 minutes

হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর:
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ রাতে। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে প্রার্থী-সমর্থকদের মিছিলে মুখরিত ছিলো পুরো রংপুর নগরী। আজ রোববার রাত ১২টা থেকে গণসংযোগ, পথসভাসহ সব ধরনের প্রচারণা থেকে বিরত থাকবেন প্রার্থীরা। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ হবে। এখন সেই অপেক্ষার প্রহর গুনা শুরু হয়েছে।
প্রচার শেষের পর এখন ভোটের হিসেবের চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত রয়েছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। তবে এবারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লড়াইয়ের সম্ভবনা মনে করা হলেও ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ সমর্থক এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কথা এখন ভোটারদের কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ভোটাররা বিগত মেয়রের ৫ বছরের উন্নয়নের হিসাব নিকাশ শুরু করেছে। বিশেষ করে সচেতন নগরবাসী ও বর্ধিত এলাকার মানুষজনের মাঝে এমনটাই লক্ষ্য করা গেছে। ভোটাররা বলছেন, ভোট হিসেব নিকেষ করে দিবেন। নির্বাচনে দেখেশুনে যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দেবেন। নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিতে চান তারা।
কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে দুই-একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মেয়র প্রার্থীরা প্রচারণা করেছেন। প্রার্থীদের মাঝে বাকযুদ্ধ থাকলেও প্রচারণা ঘিরে ছিল না কোনো উত্তেজনা। উৎসবের প্রচারণায় ঘনিয়ে আসা ভোট শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্নের লক্ষ্যে প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে ৩৩টি ওয়ার্ডে নিয়োগ করা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট। মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পুলিশের পাশাপাশি থাকছে র‌্যাব ও বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্স।
এবার আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি, জাসদ, জাকের পার্টিসহ সাতটি রাজনৈতিক দলের সাতজন ও স্বতন্ত্র দুইসহ মোট নয়জন মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা তফসিল ঘোষণার আগে থেকে প্রচারণা চালানোর পর মনোনয়নপত্র কিনলেও শেষ পর্যন্ত তিনি জমা দেননি। তবে প্রচারণায় এগিয়ে ছিলেন সদ্য সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। শেষ পর্যন্ত জয়ের মালা কার গলায় পড়বে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন নগরবাসী।
এবারের নির্বাচনে বিগত দিনের পাওয়া না পাওয়ার হিসেব কষছেন সাধারণ ভোটাররা। বিগত দিনের উন্নয়নের মূল্যায়ন আর নিত্য-নতুন প্রতিশ্রæতির হিসাব মেলাতে সচেতন ভোটাররাও ব্যস্ত।

ভোটার প্রায় সোয়া চার লাখ, একজন হিজড়া
রসিক নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার প্রায় সোয়া চার লাখ। এর মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার একজন। গতকাল রোববার দুপুরে রংপুর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন এক প্রেস সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৬ জন, পুরুষ দুই লাখ ১২ হাজার ৩০৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন।

৮৬ টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চি‎হ্নিত
রংপুর সিটি করপোরেশনে ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬ টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চি‎হ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি থানায় ৩৭টি, তাজহাট থানায় আটটি, মাহিগঞ্জ থানায় নয়টি, হারাগাছ থানায় নয়টি, পরশুরাম থানায় ১৩টি ও হাজিরহাট থানায় ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্র কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ, ৬ জন পুরুষ আনসার, ৪ জন নারী আনসার ও দুইজন অস্ত্রধারি আনসার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, এসব কেন্দ্রে ভোটার বেশি। কেন্দ্রে সীমানা প্রাচীরও নেই। কেন্দ্র এলাকায় অতীতে সংঘাত হয়েছে। তাই এগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ বলা হচ্ছে।
ভোটকে কেন্দ্র করে নগরীতে আটস্তরের নিরাপত্তা
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটকে কেন্দ্র করে নগরীকে আটস্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে। সহিংসতা এড়াতে ৩৩ টি ওয়ার্ডকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ভ্রাম্যমান আদালত, গোয়েন্দা নজরদারি, মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট, রিজার্ভ ফোর্সসহ আট ধরণের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় এজন্য বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে। নির্বাচনে ২২৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬ টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চি‎হ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ, ৬ জন পুরুষ আনসার,৪ জন নারী আনসার ও দুইজন অস্ত্রধারি আনসার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ছাড়া সাধারণ কেন্দ্রের জন্য ৩ জন পুলিশ সদস্য, ১০ জন নারী ও পুরুষ আনসার ও দুইজন অস্ত্রধারি এপিবিএন সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে র‌্যাবের ১৭টি টিম কাজ করবে। ১৯টি বিজিবি টিম সার্বক্ষনিক নির্বাচনি শৃঙ্খলা বজায় রাথতে মাঠে থাকবে। ৩৩টি ওয়ার্ডে ৩৩টি মোবাইল টিম থাকবে। এছাড়া ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট থাকবেন। তারা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে পারবেন। তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এছাড়া সারা শহরে সাদা পোষাকে গোয়েন্দা নজরদারির জাল বিছানো হয়েছে। নগরীর গুরুত্বর্পূণ পয়েন্টগুলোতে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। কেউ যাতে বে আইনী কিছু করে পালিয়ে যেতে না পারে এজন্য প্রস্তুত থাকবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এধনের ৮ ধরণের নিরাপত্তা কাঠামো তৈরী করা হয়েছে নির্বাচনকে ঘিরে। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি মিলে দুই হাজারে বেশি সদস্য মাঠে নামানো থাকবে। এছাড়া কয়েকশত পুলিশকে রির্জাভ রাখা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে আইনশৃখলা বাহিনী প্রস্তুত করেছে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

বিএনপি অংশ না নেয়ায় শূন্যতা
এবারের রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতা হচ্ছে। এ নির্বাচনে যেই জিতুক তারাই থাকছে। ফলে এখানে সাধারণ মানুষের আনন্দ-আগ্রহ নেই। সব দলের অংশগ্রহণের নির্বাচন জমে ওঠে অন্যরকম। কোনো দলের ঘাটতি হলে আনন্দটা ফ্যাকাসে হয়ে যায়। ওদিকে মেয়র প্রার্থীদের মাঝে চলছে সংখ্যা তত্তে¡র হিসেব। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় এক ধরণের শূণ্যতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন ভোটাররা। বিএনপি-জামায়াতের একাধিক নেতা বলছেন, নির্বাচন বর্জন করেছি। ভোটদানেও বিরত থাকবো। বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, রংপুর সিটি করপোরেশনে বিএনপির নিজস্ব ভোট রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার। অপরদিকে জামায়াতের দাবি তাদের প্রায় ৪৫ হাজার ভোট রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াতের মান ভাঙাতে মেয়র প্রার্থীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন।

নৌকায় ভোট না দিলে রংপুর পিছিয়ে যাবে: ডালিয়া
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী এ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেছেন, নৌকার পক্ষে ব্যাপক গনজোয়ার উঠেছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। বর্তমান সরকারের আমলে রংপুরের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এবার যদি ভুল হয় তাহলে রংপুর উন্নয়নে আরোও পিছিয়ে যাবে। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। প্রচার প্রচারণার শেষ দিন রোববার দুপুরে নগরীর হনুমানতলায় গনসংযোগে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি ।
ডালিয়া বলেন, রংপুরকে জাপার দূর্গ দাবি করা হলেও এটি যে নৌকার ঘাটি তা প্রমাণ হবে এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। দীর্ঘদিন নানা ভাবে এই অঞ্চল জাপা প্রতিনিধিত্ব করলেও রংপুরের কোনো পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে পারেনি তাঁরা। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর বাসীকে বিভাগ,সিটি কর্পোরেশন, বিশ্ববিদ্যালয়, চার লেন সড়ক উপহার দিয়েছেন। তাই রংপুরবাসীর উচিত এবার নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয় উপহার দেয়া। ভোটারদের উদ্দেশ্যে ডালিয়া বলেন, আর ভূল করলে চলবে না। ৪৭ বছরে একটি মার্কা রংপুরের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি আগামীতেও পারবেনা। নৌকায় ভোট দিয়ে একটি আধুনিক ও স্মার্ট সিটি করপোরেশন গড়তে আহ্বান জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিয়ার রহমান সফি, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি সিরাজুম মনির বাশার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রনি প্রমুখ।

নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি প্রতিহত করতে আমরা প্রস্তুত: মোস্তফা
জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল মার্কার মেয়র প্রার্থী ও সদ্য সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, ভোট নিয়ে আমাদের কোনো শঙ্কা নেই। তবে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি করতে আসা যেকোনো অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে আমরা প্রস্তুত আছি। নির্বাচন কমিশন একটা ফেয়ার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার কমিটমেন্ট করেছে, আমরা সেই নিরিখে আস্থা রেখে নির্বাচন করছি। আমরা মনে করি এই নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।আজ রোববার প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে দুপুরে রংপুর মহানগরীর স্টেশন রোড জীবন বীমা মোড় এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার আগের সরকারি দলের মেয়র পাঁচ বছরে ২৭০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করলেও আমার আমলে সাড়ে ১২০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান এজেন্ডা রংপুরের প্রাণ শ্যামাসুন্দরী খাল দখলমুক্ত করতে আমার আমলে একটি সমন্বিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে মেয়র হিসেবে আমার করা উন্নয়ন, জনসম্পৃক্ততা বিবেচনা করে লাঙ্গলের পক্ষে গণজোয়ার উঠেছে। মোস্তফা আরও বলেন, এছাড়া এই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় এবং জামায়াতের এক প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় সেই উত্তাপ নেই। এবার লাঙ্গলের পক্ষে জনগণের সৃষ্ট গণজোয়ারে নির্বাচন একতরফা হবে।তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে শঙ্কা না থাকলেও এর পেছনের কারিগরদের নিয়ে শঙ্কা আছে। ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে গাইবান্ধার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে শান্ত রংপুর আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হবে। ইভিএম নিয়ে বিরোধীদলগুলোর যে অনাস্থা তা প্রকট হবে। এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জাতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, জেলা জাপার সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম-আহবায়ক মাসুদ নবী মুন্না, জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসানুজ্জামান নাজিম, মহানগর ছাত্রসমাজের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত আসিফসহ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীরা। গতকাল বিকেল পর্যন্ত গণসংযোগ শেষে সন্ধ্যায় সিটি বাজারে একটি নির্বাচনী পথসভা করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণার শেষ করেন তিনি।

সিটিবাসী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে, তারা পরিবর্তন চায়:মিলন
রংপুর সিটিবাসী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে, তারা পরিবর্তন চায়, উন্নয়ন চায়, তাই ২৭ ডিসেম্বর হাতি মার্কায় ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলন। গতকাল রোববার বিকেলে নগরীর গুড়াতিপাড়ায় গণসংযোগকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি নগরীর মর্ডাণ মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।
ইঞ্জিনিয়ার মিলন বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়েছিলো সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। উল্টো দুর্নীতির কারনে বেশি সমালোচিত হয়েছে, অপরিকল্পিত উন্নয়নে নাগরিক বিরম্বনা বেড়েছে, বর্ষাকালীন জনদূর্ভোগে পরেন নগরবাসী। যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী তাই পরিবর্তন চায়, কর্মসংস্থান না থাকায় বেকারত্ব বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তিনি আরো বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে আধুনিক কৃষিভিত্তিক পরিকল্পিত নগরী গঠন করবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাতি প্রতিকের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী এ কে এম ফজলুল কবীর লিটনসহ অন্যান্য কর্মী সমর্থকবৃন্দ।

সিটিবাসী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে, তারা পরিবর্তন চায়:মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com