বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
রাতুল সরকার,রাজশাহী:
রাজশাহীতে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আ’লীগের কতিপয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আল মানার প্রোপার্টিজ রিয়েল স্টেট কোম্পানীর জিএম আইনুল হক।শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম।অভিযুক্তরা হলেন, নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার আহমেদ বাচ্চুসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন।আল মানার প্রোপার্টিজ রিয়েল স্টেট কোম্পানীর জিএম আইনুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত আল মানার প্রোপাটিজের নির্মাণাধীন একটি ভবনে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন স্থানীয় আ’লীগের কতিপয় নেতাকর্মী। এতে নেতৃত্ব দেন ২৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বাচ্চু। এসময় তার সাথে অন্তত অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন ছিল। তারা ভবনের নাইট গার্ড হাফিজুর রহমানকে মারধর করেন এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এছাড়া ভবনের মালিককে দেখা করার কথা বলে চলে যান তারা।জিএম আইনুল হক ও নাইট গার্ড হাফিজুর রহমান বলেন, পরবর্তীতে দুপুরের দিকে পুনরায় অভিযুক্তরা ভবনের মেইন গেট টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুজনকে টেনে হিচড়ে ছাদের ওপর নিয়ে গিয়ে লাঞ্চিত করেন। জিএম আইনুল হক বলেন, আ’লীগের নেতারা আমাদের ইঞ্জিনিয়ারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। চাঁদা নেওয়ার জন্যই তারা এখানে এসে ঝামেলা করেন বলে আমি জেনেছি।ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুজন বলেন, ছাদে নিয়ে গিয়ে আমাকে টানা হেচড়া করেন তারা। এছাড়া আমার হাতে থাকা দু’টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। এসময় তারা আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন এখানে ভবন নির্মাণ করতে হলে আমাদের ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় কাজ বন্ধ থাকবে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে ইঞ্জিনিয়ারকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ারও হুমকি দেন অভিযুক্তরা।জানতে চাইলে নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার আহমেদ বাচ্চু বলেন, আমার পরিচিত এক লোকের সাথে ওই কোম্পানীর লোকের ব্যবসায়ীক ঝামেলা চলছিল। আমি সেটা নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ সঠিক নয়। তবে কোম্পানীটির নির্মানাধীন ভবনের কাজ আমি বন্ধ করে দিয়েছি।চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, আমি বিস্তারিত জানি না। তবে থানায় দেওয়া অভিযোগ দেখে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।